“পুনর্নির্বাচনে আরও খারাপ ফল হবে”: অধীর চৌধুরী

0 0
Read Time:4 Minute, 4 Second

নিউজ ডেস্ক::কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সামনে রেখে সিভিক আর হোমগার্ডকে দিয়ে ভোট লুঠ করা হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে। বাংলার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি আরও বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর রি-পোল করে সাধু সাজতে চাইছে নির্বাচন কমিশন।

অধীর চৌধুরী বলেন, পুনর্নির্বাচনে আরও খারাপ ফল হবে বিরোধীদের। কারণ পাবলিক আর ভোট দিতে যাবে না। কে যাবে শুধু শুধু মার খেতে? তৃণমূলের লোকেরা ভোট দিয়ে দেবে। বহরমপুরে পুনরায় নির্বাচন ইস্যুতে এমনই মত অধীর চৌধুরীর।

অধীরের কথায়, সব নির্বাচন বাতিল করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর অধীনে নির্বাচন আলাদা জিনিস। কিন্তু তা না করে হাইকোর্টকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন দেখাচ্ছে যে, আমরা কত আইন মেনে চলি, নিয়ম মেনে চলি। তাই রি-পোল করানো হল। আর রি-পোল করানো মানে পোলের থেকে বেশি ভোট পাবে তৃণমূল। আরও খারাপ রেজাল্ট হবে বিরোধীদের।

এবার ভোটকে ঘিরে বেলাগাম সন্ত্রাস হয়েছে। অধীর চৌধুরী বলেন, কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মীর মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখের। কে মেরেছে এগুলো তদন্ত করা উচিত। সমস্ত দোষ কংগ্রেসের ঘাড়ে চাপানো যাবে না। অধীর চৌধুরী বলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বসিয়ে রেখে রাজ্যের বাহিনীকে দিয়ে নির্বাচন করাতে বাধ্য করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা আদালতকে বোঝাতে পেরেছি মানুষের বিরুদ্ধে অন্যায় হয়েছে। তাই তাদেরকে আজ কৈফিয়ৎ দিতে হচ্ছে। গুলি চালানোর ঘটনা কেন হল, সেটা আগে তদন্ত হওয়া দরকার। গুলি চালতে কারা বাধ্য করল, সেটাও তদন্ত হওয়া দরকার।

একুশে জুলাই আসছে। দিদিভাই শহিদ দিবসের নামে বিজয় উৎসব করবেন, তা আমরা জানি। অধীর বলেন, শহিদ দিবসের নামে উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনায় মাততে দেখা যাবে তৃণমূলকে। দিদি আপনার কাছে আমাদের প্রশ্ন, ১৯৯৩ সাল থেকে শহিদ দিবস হয়ে চলেছে। আপনি তিনবারে মুখ্যমন্ত্রী হয়ে গেছেন। কিন্তু সেদিন যাদের জন্য শহিদ হতে হয়েছিল, সেই পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা হয়েছে কি?

ভোট-সন্ত্রাসে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও এদিন গর্জে ওঠেন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, পুলিশ নিজে ফোন করে করে আমাদের দলের প্রার্থীদেরকে ধমকি দেওয়া শুরু করেছে। তৃণমূলের বোর্ড গঠন করতে কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থীদের তৃণমূলের যোগদান করার জন্য বলা হচ্ছে।

এদিন সরকারি কর্মচারীদের পাওনা অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন অধীর। তিনি বলেন, মানুষের লক্ষ লক্ষ টাকা কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে বড়ো বড়ো আইনজীবীদের নিয়োগ করছে। সরকারি কর্মচারী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!