দিলীপ ঘোষের সঙ্গে সাংবাদিকদের কথা

0 0
Read Time:4 Minute, 42 Second

নিউজ ডেস্ক::আজ বিভিন্ন বিষয় দিলীপ ঘোষের সঙ্গে সাংবাদিকদের কথা হয়।

নন্দীগ্রামে আক্রান্ত তৃণমূল। রাজাশেখর মান্থা বিজেপিকে প্রোটেকশন দিচ্ছে। আমি চাইলে দেবে তো? – অভিষেক

প্রোটেকশন আছে বলেই উনি বাইরে আছেন। নাহলে বহুদিন আগে তিহাড়ে গিয়ে কেষ্টর সঙ্গে বসে ভাত খেতে হত। দিল্লী,কলকাতা অনেক করেছেন। কোর্টের প্রোটেকশনেই বেঁচে আছেন। এমন কোনো অপরাধ নেই, যার সঙ্গে নাম যুক্ত নেই।

স্থানীয় বিধায়ক হয়ে নওশাদ ভাঙড়ে ঢুকতে বাধা পাচ্ছেন। অথচ ক্যানিংয়ের বিধায়ক হয়ে শওকত মোল্লা ভাঙড়ে বসে আছেন

এ রাজ্যে গণতন্ত্র দু রকম। তৃণমূলের লোকের জন্য একরকম। তারা সব জায়গায় যেতে পারেন। আর বিরোধিদের জন্য আরেক রকম। মনে আছে, যখন লকডাউন চলছিল, ওদের নেতারা সর্বত্র ঘুরে ঘুরে ত্রাণ দিচ্ছিলেন। আর আমাকে মেদিনীপুর ঢুকতে দেওয়া হয়নি। হাইওয়েতে গাড়ী আটকে দেওয়া হয়েছিল। আইন সবার জন্য এক হওয়া উচিৎ। ওখানকার মানুষ যাকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন, তাকে ঢুকতেই দেওয়া হচ্ছে না। আর দুনিয়ার সমাজবিরোধী, মোস্তান, গুন্ডা, তাদের ভিতরে ঢুকিয়ে রাখা হয়েছে। এর আগেও দেখা গেছে যাদেরকে ওরা গাড়িতে করে নিয়ে এসেছিল, সেই গাড়িগুলো ক্যানিং জীবনতলার। তারা বোমা বন্দুক নিয়ে এসেছিল।

মৃত্যু মিছিল থামছে না ভোটের পরেও

এ রাজ্যে মৃত্যু মিছিল নতুন না। আবার লোকসভার আগে একই ঘটনা হবে। সিপিএমের আমলেও হতো। এখন আরও বেড়ে গেছে। কারণ রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা উঠে গেছে। এখানে সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী মাঝে মাঝে বাণী দেবেন। মানুষ যে ওনাকে বিশ্বাস করে ভোট দিয়েছিল, তাদের ন্যুনতম সুরক্ষা উনি দিতে পারছেন না।

৬ মাসে ফের রাজভবনে প্রেস সচিব বদল। নন্দিনী চক্রবর্তীর পর এবার শেখর চ্যাটার্জি

এখন তো শুনি ৬ মাস অন্তর আই এ এস, আই পি এস বদল হয়। রাজ্যপালের ওপর যেমন এখানকার প্রশাসন আস্থা রাখতে পারেনা, তেমন এখানকার আমলাদের ওপর রাজ্যপাল আস্থা রাখতে পারছে না, এমনটা তো হতেই পারে।

ফল ঘোষণা এখনই নয়, আদালত

যে অভিযোগ গুলো এসেছে, তার কিছু আমরাও করেছি। একই অফিসার। এ আর বি লেখা চিরকুট তৈরি করেছেন। তিনিই করেছেন। তিনিই ফেলেছেন। তিনিই জয়ী ঘোষণা করেছেন। বিচিত্র ব্যাপার। এরকম হাজার হাজার অভিযোগ সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ফলাফল তো নিজেই একটা প্রহসন।

এক বিচারপতি বিজেপিকে প্রোটেকশন দিয়ে সন্ত্রাস কে মদত দিচ্ছে:অভিষেক

ওরা যত অন্যায় করবে, সেটাকে মেনে নিতে হবে? যে মেনে নেবে না সে শত্রু? সে আদালত হোক বা ইডি সিবিআই। প্রতিবাদ করা যাবে না? তাহলেই অন্যায় হয়ে যাবে? যারা বিচারব্যবস্থাকে দুষছেন, তারা তার মানে সংবিধানকেও মানছেন না। ভাবছে সবাই তাদের পক্ষে কথা বলবে। এটা হবে না। উনি প্রধানমন্ত্রীকে গালাগাল দেবেন, রাষ্ট্রপতিকে গালাগাল দেবেন, সেই অধিকার আছে? অন্য কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলতে পারবে না? সাজা দিতে পারবে না, তদন্ত করতে পারবে না। এটা একতরফা হতে পারে না।

৩৮ থেকে ২২ নেমেছে

২০১৯ এ আমরা তৃণমূল কে ৩৪ থেকে ২২ এ নামিয়েছি। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েতে আমরা ৬ হাজার আসন জিতেই ২২ এ নামিয়েছিলাম। এবার আমরা ১১ হাজার আসন জিতেছি। এবার তৃণমূল কংগ্রেসের আরও এক ডজন সিট কমবে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!