এনডিএ-র মর্মার্থ ব্যাখ্যা নরেন্দ্র মোদীর
নিউজ ডেস্ক ::
ইউপিএ-র অবলুপ্তি ঘটিয়ে আজই বেঙ্গালুরু থেকে ২৬টি বিরোধী রাজনৈতিক দলের জোটের নামকরণ হয়েছে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স, সংক্ষেপে ইন্ডিয়া।
এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এনডিএ-র মর্মার্থ তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দিল্লিতে ৩৮টি দলকে নিয়ে হওয়া এনডিএ-র মেগা বৈঠকে।
দেশে স্থিতাবস্থা আনতেই যে এনডিএ গঠিত হয়েছিল সে কথা স্মরণ করিয়ে মোদী বলেন, NDA-র N নিউ ইন্ডিয়া। D দ্বারা বোঝানো হচ্ছে ডেভেলপড নেশন এবং A অ্যাসপিরেশন অব পিপল। যার অর্থ দাঁড়ায় উন্নত দেশ গঠনে মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে মর্যাদা ও গুরুত্ব দিয়েই নতুন ভারত গড়ার লক্ষ্যে পথ চলা শুরু করেছিল এনডিএ।
কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন থাকাকালীন এনডিএ সদর্থক রাজনীতি করেছে বলে উল্লেখ করেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর কথায়, আমরা যখন বিরোধী আসনে ছিলাম তখনও ইতিবাচক রাজনীতি করেছি। মানুষের রায়কে কখনও অমর্যাদা করিনি। সরকারের বিরোধিতা করতে গিয়ে বিদেশের সাহায্য চাইনি।
এনডিএ বিরোধী হিসেবে দেশের বিকাশে প্রতিবন্ধকতা তৈরির চেষ্টা করেনি বলেও মনে করান মোদী। বিরোধী দলের জোটকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, যখন দুর্নীতির লক্ষ্যে কোনও জোট তৈরি হয় তখন দেশের ক্ষতিই করে থাকে। জোটসঙ্গীদের গুরুত্ব উল্লেখ করে মোদী বলেন, এনডিএ দীর্ঘ সময় ধরে পরীক্ষিত জোট। দেশের উন্নতি ও দেশবাসীর আকাঙ্ক্ষাপূরণে নিবেদিত।
মোদীর কথায়, যখন কোনও জোটের ক্ষমতা দখলের বাধ্যবাধকতা থাকে, দুর্নীতি করাই যাদের লক্ষ্য, পরিবারবাদের নীতি যে জোটের ভিত্তি, জাত-পাতের কথা মাথায় রেখে যে জোট তৈরি হয় তা দেশের প্রভূত ক্ষতিসাধন করে। এই অবস্থায় এনডিএ-ই দেশসেবার কাজে এবং দেশকে শক্তিশালী করতে আদর্শ জোট বলে উল্লেখ করেন মোদী।
মোদীর কথায়, দেশের মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ এনডিএ। এনডিএ-র আদর্শ হলো নেশন ফার্স্ট। সব কিছুর আগে দেশ, দেশের সুরক্ষা, দেশের অগ্রগতি ও মানুষের ক্ষমতায়ন। বৈঠক শুরুর আগে এনডিএ-র সব দলের নেতাদের হাতে পুষ্পস্তবক তুলে দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। সকলকে স্বাগত জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী ও বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তাওড়ে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে স্বাগত জানান বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, শিবনেতা নেতা তথা মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে, তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা এআইএডিএমকে নেতা পালানিস্বামী, নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেইফিউ রিও ও বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা নেতা জিতনরাম মাঞ্ঝি।