মমতা লোকসভা ভোটে লড়লেই প্রার্থী শুভেন্দু
নিউজ ডেস্ক ::
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ বেঙ্গালুরুতে বিজেপি-বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির বৈঠকের পর এনডিএকে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন। বলেছিলেন, এনডিএ হারবে, বিজেপি হারবে।
ইউপিএ-র নাম বদলে বিরোধী জোটের নাম সংক্ষেপে হয়েছে ইন্ডিয়া। মমতার চ্যালেঞ্জের কথা শুনেই পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন শুভেন্দু অধিকারী।
তিনি কুলতলিতে সাংবাদিকদের বলেন, ভাইপো যাতে আমেরিকায় চিকিৎসা করাতে পারেন, ভাইপোর স্ত্রী তাইল্যান্ডে টাকা পাচার করতে পারেন, ভাইপোর শ্যালিকা লন্ডনে টাকা পাচার করতে পারেন, পিসি যাতে ভাইপোকে নিয়ে প্রাসাদে ঝাড়বাতির তলায় সুখে-শান্তিতে থাকতে পারেন, চার্টার্ড প্লেনে চড়তে পারেন সে কারণে এই বৈঠকে গিয়েছেন।
শুভেন্দুর কথায়, এটা চোরেদের জোট, ভ্রষ্টাচারীদের জোট। নিজেদের পরিবারকে রক্ষা করতে সকলে বেঙ্গালুরুতে গিয়েছেন নরেন্দ্র মোদীর আতঙ্কে ভুগে আর ইডি-সিবিআইয়ের ভয়ে। মানুষের জোটের নেতা নরেন্দ্র মোদী, চোরেদের নেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৯ সালে ইউনাইটেড ইন্ডিয়ার কী দশা হয়েছিল সকলে দেখেছেন। এবার তার চেয়েও খারাপ হবে।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু নন্দীগ্রামে বিধানসভা ভোটে ১৯৫৬ ভোটে হারিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শুভেন্দু এদিন মমতাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, দিল্লি যাবেন। তাহলে লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়ান। সেখানে আপনার সঙ্গে আমার দেখা হবে। আপনি তো আমাকেই হারাতে পারেননি। নরেন্দ্র মোদী তো অনেক বড় ব্যাপার।
এবার এনডিএ ৪০০ আসনে জিতবে বলেও ভবিষ্যদ্বাণী করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, কংগ্রেস, সিপিআইএমের অনেকেই এই বেঙ্গালুরুর বৈঠকের ছবি দেখে অসন্তুষ্ট। তাঁরা মানবেন না এই জোট। শুভেন্দু ফের আহ্বান জানান, ওই দলগুলি থেকে বেরিয়ে এসে কোনও আলাদা ব্যানারে বা মঞ্চ গড়ে তৃণমূল বিরোধিতা চালিয়ে যেতে।
শুভেন্দু আগেই বলেছেন, সিবিআই দফতরে গিয়ে মমতার সারদা-যোগ সংক্রান্ত নথি দিয়ে আসবেন ডিরেক্টরের কাছে। ইডি গতকাল রাতে গ্রেফতার করেছে ব্যবসায়ী কৌস্তুভ রায়কে। তাঁকে মমতাকে সরকারি কমিটিতে রেখেছিলেন, ভোটের সময় শুভেন্দুকে আক্রমণ করেছেন বিভিন্ন জনসভায়। কৌস্তুভের ১০ দিন ইডি হেফাজত হয়েছে।
কৌস্তুভ বলেন, কেন্দ্র ষড়যন্ত্র করে তাঁকে গ্রেফতার করেছে। পিনকনের বিজ্ঞাপন তাঁর মতো অনেকেই সংবাদমাধ্যমে চালিয়েছেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার কেলেঙ্কারিতে তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। মমতা এদিন বেঙ্গালুরুতে বলেন, বিরোধী দলকে যারা সাপোর্ট করছে, সেখানেই ইডি-সিবিআই পাঠাচ্ছে।
শুভেন্দু বলেন, এই চোরটাকে এতদিন বাইরে রাখা হয়েছিল কেন? এ বড় ডাকাত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজেন্ট। কৌস্তুভের প্রথম দুটি ফোনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম পাওয়া যায়নি। গাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত তৃতীয় ফোনে প্রমাণ রয়েছে মমতার সঙ্গে কতবার তিনি গতকালও কথা বলেছেন। ওঁকে রগড়ালেই মমতাও জেলে যাবেন বলে মন্তব্য শুভেন্দুর।