মমতার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন শুভেন্দু!
নিউজ ডেস্ক ::
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করতে গিয়ে ধৃত মেদিনীপুরের বাসিন্দা নূর আলম। উদ্ধার হয়েছে অস্ত্র ও মাদক। গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কালীঘাট থানায়।
মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছেই এমন ঘটনা ঘটায় উদ্বিগ্ন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দুই পুলিশকর্তার সাসপেনশনও দাবি করলেন।
একুশে জুলাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়ি দেখতে যান কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের মোবাইলে ছবি তুলতে নিষেধ করা হয়। প্রতিবারের মতো আজও মমতার বাড়ি দেখতে উৎসাহী তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের ভিড় ছিল। পুলিশ নিরাপত্তার সবদিক খতিয়ে দেখে তাঁদের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে যাওয়ার অনুমতিও দিচ্ছিল।
আজ সকালে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের বাসভবনে দেখা করেন শহিদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। এরই মধ্যে কালীঘাটের বাড়ির কাছাকাছি একটি কালো গাড়ি যেতে গেলে আটকায় পুলিশ। গাড়িতে কোট ও সানগ্লাস পরিহিত এক ব্যক্তি নিজের পরিচয় দেন পুলিশের পদস্থ কর্তা হিসেবে।
কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল সাংবাদিকদের বলেন, ওই ব্যক্তি নিজেকে পুলিশ বলে দাবি করলেও পরিচয়পত্র দেখাতে পারেননি। এরপর তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে অস্ত্র ও মাদক। ওই ব্যক্তিকে কালীঘাট থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কেন ওই ব্যক্তি কোন উদ্দেশ্য নিয়ে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি ঢোকার চেষ্টা করছিলেন তা জানতে চাইছে পুলিশ।
এই খবর শোনার পর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, উদ্বেগের বিষয়। পুলিশের লোকেরা রাজনীতি করতে ব্যস্ত। আনস্কিলড। পুলিশকে বাজার করার কাজে লাগালে এমনটাই হবে। পুলিশের কাজ হলো ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা প্রদান, বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার করা ইত্যাদি।
কিন্তু তা না করে পুলিশ রাখিবন্ধন, ফুটবল বিতরণ, ছাপ্পা মারা, ব্যালট পাল্টানো, ব্যালট ও সার্টিফিকেট ছেড়ার কাজ করছে বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর। তিনি বলেন, পুলিশ এই সব করতে গিয়ে আসল কাজ ভুলে গিয়েছে। অবিলম্বে কলকাতার পুলিশ কমিশনার ও কালীঘাট থানার আইসিকে সাসপেন্ড করা উচিত এদিনের ঘটনার জন্য।