কারোর মাথায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ও কেউ আবার সেজেছেন বাংলার লক্ষ্মী
নিউজ ডেস্ক ::
নিয়োগ দুর্নীতিতে যে গ্রাম বাংলার ভোটে প্রভাব ফেলতে পারেনি, তে দেখিয়ে দিয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই সরকারের কল্যাণমূলক প্রকল্প ধরেই এগোতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। যা প্রকাশ পেয়েছে এবারের ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে।
অন্যবারের মতো এবারেও তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা হাওড়া ও শিয়ালদহ দিয়ে এসেছেন বাহারি সাজে। কেউ চুলের ছাটে মমতা কিংবা অভিষেক লিখেছেন, কেউবা গায়ে প্রতীকের রঙে রাঙিয়েছেন। আবার কেউ নিয়েছেন মাথায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। কেউ আবার সেজেছেন লক্ষ্মী।
উন্নয়নই মূলমন্ত্র। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উন্নয়নকে হাতিয়ার করেই বাংলা গড়ার ডাক দিয়েছিলেন। আর সেই বার্তা নিয়েই শহরতলি থেকে এদিনে এসেছেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। কেউ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে এসেছেন জেলা থেকে। কোথাও আবার বিজেপিকে দেশের ক্ষমতা থেকে উপড়ে ফেলার অঙ্গীকারও করছেন।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে, সাস্থ্যসাথী প্রকল্প। কন্যাশ্রী থেকে যুবশ্রী বিভিন্ন প্রকল্প হয়ে দুয়ারে সরকার৷ প্রত্যেকটি প্রকল্পেই মানুষ উপকৃত। আর সেই প্রকল্পকেই হাতিয়ার করে এসেছেন মানুষরা। সেই সাজে নিজেদের সাজিয়ে তুলেছেন। সাজের বাহারে মানুষদের আকৃষ্ট করছেন তাঁরা।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার মাথার করে সেজে আসা ব্যক্তি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংবেদনশীলনতা প্রশংসা করে বলেছেন, এখনও অনেক প্রান্তিক এলাকার মানুষ ৫০০ টাকার দিকে চেয়ে বসে থাকেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এটা অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। এখন দেশের অন্য রাজ্যেও তা চালু করা হচ্ছে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে দুরন্ত জয় পেয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি বিরোধী জোটও তৈরি হয়ে গিয়েছে দেশজুড়ে। সামনেই বছর ঘুরলে লোকসভা ভোট। তার আগে এটি শেষ ২১ জুলাই।