ঈশানের ফোকাসে বিশ্বকাপ
নিউজ ডেস্ক::বিশ্বকাপের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের একদিনের সিরিজ ছিল ভারতের কাছে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ। ব্যাটিং বিভাগে শক্তি বাড়াতে বিরাট-রোহিতরা জায়গা ছেড়ে দিলেন তরুণ ক্রিকেটারদের।সেই সুযোগটা দারুণ কাজে লাগালেন ঝাড়খণ্ডের বাঁ হাতি ব্যাটার ঈশান কিষাণ । ভারত জিতুক বা হারুক, ঈশানের ব্যাটে তিন ম্যাচেই এল অর্ধশতরানের ইনিংস।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের পারফরম্যান্সের সৌজন্যে বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের দরজায় কড়া নাড়া শুরু করে দিলেন ঝাড়খণ্ডের তরুণ তুর্কি। ঘরের মাঠে একদিনের বিশ্বকাপে টিম ইন্ডিয়ার দ্বিতীয় উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হিসাবে নির্বাচকদের নোটবুকে নিজের নাম তুলে রাখলেন ঈশান।
ক্যারিবিয়ান সফরে দুরন্ত ফর্মে পাওয়া গিয়েছে ঈশানকে। তৃতীয় ওডিআইতে ওপেনিংয়ে ইশান কিষাণ ৬৪ বলে ৭৭ রান করেন। তার ইনিংসে মারেন ৮টি চার ও ৩টি ছক্কা। এর পাশাপাশি শুভমন গিলের সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে ১৪৩ রানের পার্টনারশিপ গড়েন।
ঋষভ পন্থ বা লোকেশ রাহুল পুরো ফিট হয়ে উঠলে তাঁদের মধ্যে একজনই হবেন দলের প্রধান উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। ব্যাকআপ কিপারের জায়গার জন্য সঞ্জু ও ঈশানের মধ্যে এগিয়ে রয়েছেন দ্বিতীয়জন। কিপিংয়ের পাশাপাশি ব্যাকআপ ওপেনার হিসেবেও পাওয়া যাবে তাঁকে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে একদিনের ম্যাচে সিরিজ সেরা হওয়ার পর ঈশান বলেন, ‘আমি যেভাবে শেষ করতে চেয়েছিলাম সেটা করতে না পারায় কিছুটা আক্ষেপ আছে। সেট হওয়ার পরও বড় রান করাই ছিল লক্ষ্য।আমার উচিত ছিল উইকেটে আরও একটু থিতু হয়ে বড় রান তোলা, আশা করছি পরের বার সেটা করতে পারব। শেষ ম্যাচে কী হয়েছিল সেটা ভুলে গিয়ে শূণ্য থেকে এই ম্যাচে শুরু করেছি।
ঈষান কিষাণকে মূলত টি টোয়েন্টি ফর্ম্যাটের জন্য ভাবা হত। কিন্তু এই সফরে ঝাড়খণ্ডের তরুণ বোঝালেন একদিনের ক্রিকেটেও তিনি সমান সাবলীল। আগামী বছর টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর বসবে এই দেশেই। তবে আগামী টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নয়, তাঁর ফোকাসে যে ঘরের মাঠে একদিনের বিশ্বকাপ তা বুঝিয়ে দিয়েছেন টিম ইন্ডিয়ার তরুণ সদস্য।
ঈশান উল্লেখ করেন, ‘আমি এখানে বেশ কিছু টুর্নামেন্ট খেলেছি, তাই এখানকার উইকেট সম্পর্কে জানি। আমি ২০২৪ সালের বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবছি না। শুধুমাত্র পরের টুর্নামেন্ট নিয়ে ভাবছি। একটা টুর্নামেন্ট একজন ক্রিকেটারের জীবন বদলে দিতে পারে।’
তৃতীয় একদিনের ম্যাচে অর্ধশতরান করে টিম ম্যানেজমেন্টকে স্বস্তি দিলেন শুভমন গিলও। ম্যাচের সেরা হয়ে গিল বলেন, ‘এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অর্ধশতরান, এই সফরে প্রথমবার অর্ধশতরান করলাম। চেয়েছিলাম শতরান করতে, কিন্তু ফলাফল আমাদের পক্ষে গিয়েছে। এটা খুব ভালো উইকেট ছিল। তবে পুরানো বলে খেলা খুব কঠিন ছিল।’