ধর্মতলা থেকে উঠতে চলেছে বাস টার্মিনাস
নিউজ ডেস্ক::কোলকাতার ঐতিহ্যবাহী ধর্মতলা বাস টার্মিনাস উঠতে চলেছে। প্রবল যানজট ও পরিবেশ দূষণ রোধে আদালত এই নির্দেশ আগেই দিয়েছিল। এবার আদালতের নির্দেশকে মান্যতা দিতে সরকার বদ্ধপরিকর। বিবাদী বাগ থেকে যে পদ্ধতিতে মিনিবাস টার্মিনাস তোলা হয়েছে,সেই পদ্ধতিতে ধর্মতলা থেকেও বাস টার্মিনাস তোলার পথে এগোচ্ছে সরকার। অর্থাৎ, শহর ও শহরতলির কোনও বাসই ধর্মতলা বাস স্ট্যান্ডে পার্ক করা যাবে না। ধর্মতলা চত্বরে যাত্রী নামিয়েই তাদের ফিরে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে দু-পাঁচ মিনিট রাস্তায় দাঁড়ালে ট্র্যাফিক পুলিশের কোনও আপত্তি নেই। সোমবার পরিবহণ ভবনে বাসমালিক সংগঠন ও কলকাতার ২৫টি রুটের বাস সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে কবে থেকে তা কার্যকর হবে, সে বিষয়ে এখনই কিছু জানানো হয়নি। বিষয়টা এখনো অবশ্য আলোচনার স্তরে আছে।
বাসমালিকদের বক্তব্য, হাওড়ার বিভিন্ন রুটের মিনিবাসের কোনও স্ট্যান্ড ধর্মতলায় নেই। তারা মেট্রো সিনেমার সামনে যাত্রী নামিয়ে ফিরে যায়। সাধারণ বাসের ক্ষেত্রে এই নিয়ম মানতে আপত্তি নেই। ধর্মতলা বাস স্ট্যান্ডে যানজটের অন্যতম কারণ হলো দূরপাল্লার বাসগুলির ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার্কিং। এখন প্রশ্ন হলো, সেগুলির কী হবে? পরিবহণ কর্তাদের কথায়, সেগুলির পার্কিংয়ের জন্য জমি চিহ্নিত করার কাজ চলছে। পরিবহণ দপ্তরের বক্তব্য, এ ক্ষেত্রে ধর্মতলার পরিবর্তে সাঁতরাগাছির কথা ভাবা হয়েছে। তবে সেখানে সর্বোচ্চ ১২০টি বাস একসঙ্গে দাঁড়াতে পারে। ধর্মতলায় সেই সংখ্যাটা প্রায় ৫০০। এই সমস্যা কিভাবে মেটানো যায় তা নিয়েও আলোচনা চলেছে। চলেছে বিকল্প জমির সন্ধান।
২০০৭ ও ২০১১ সালে এই নিয়ে কোলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের রায় আছে। কিন্তু সেভাবে এতদিন কিছুই সরকার করে উঠতে পারে নি।
এবার ইস্ট-ওয়েস্ট, জোকা-ধর্মতলা মেট্রো প্রকল্পের কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। ধর্মতলা তিন মেট্রোর গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। তাই বাসস্ট্যান্ড স্থানান্তর প্রক্রিয়া জরুরি বলে মনে করছে নবান্ন। সব পক্ষই এই নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী। তবে ধর্মতলায় যে সমস্ত লোকাল বাসের টার্মিনাস আছে তাদের বক্তব্য ২/৩ ঘন্টা বাস চালিয়ে ধর্মতলায় প্যাসেঞ্জার নামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ফিরে আসা সম্ভব না। বাস কর্মীদের অন্তত ১০/১৫ বিশ্রাম দিতে হবে। তাই চাই ধর্মতলার ধারে কাছে নতুন কোনো টার্মিনাস।