দয়া করে দেশকে বাঁচান! আর্জি মমতার
নিউজ ডেস্কঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে দেশকে বাঁচানোর আর্জি জানালেন। বিচারব্যবস্থার উদ্দেশ্যে তাঁর আর্জি বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া আইন প্রণয়ন নিয়ে। এই উদ্দেশেই তিনি দেশকে বাঁচানোর আর্জি জানান বিচারব্যবস্থার কাছে।
সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ রায় দিয়েছিল প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের সুপারিশ করবে একটি প্যানেল। সেই প্যানেল প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা ছাড়াও ভারতের প্রধান বিচারপতিকে রাখতে হবে। কিন্তু এই আইন পাস হলে সুপ্রিম কোর্টের রায় মূল্যহীন হয়ে যাবে।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগের কলেজিয়াম পদ্ধতির নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ও বিচারব্যবস্থার মধ্যে সংঘাত তৈরি হয়েছিল আগেই। এবার আবার সরকার ও বিচার বিভাগের মধ্যে নয়া সংঘাত তৈরি করতে চলেছে নয়া আইন পাস।
সেই আইনে দেশের শীর্ষস্থানীয় নির্বাচনী অফিসারদের নিয়োগের প্রক্রিয়ায় ভারতের প্রধান বিচারপতির আর কোনও ভূমিকা থাকবে না। গত ১০ অগাস্ট রাজ্যসভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার বিল ২০২৩ পেশ করে মোদী সরকার।
এই বিলের সুপারিশ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনারদের নাম সুপারশ করবে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন একটি প্যানেল। সেই প্যানেলের সুপারিশ মেনে তাঁদের নিয়োগ করবেন রাষ্ট্রপতি। তা নিয়েই শনিবার গর্জে উঠলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বিচারব্যাবস্থরা কাছে দেশকে বাঁচানোর আর্জি জানালেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন টুইটে লেখেন, বিচারব্যবস্থার মাথা নত করতে চাইছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার। পরিবর্তে কেন্দ্রীয় সরকার অরাজকতাকে মাথাচাড়া দেওয়াতে চাইছে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের নির্বাচনের জন্য তিন সদস্যের কমিটিতে প্রধান বিচারপতির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সেখানে প্রধান বিচারপতির পরিবর্তে যদি মন্ত্রী পরিষদের কোনও সদস্যকে রাখা হয়, তাতে নিরপেক্ষতা বিঘ্নিত হবে। আমরা তার বিরোধিতা করছি। বিচার বিভাগের প্রতি এই নির্লজ্জ অবহেলায় একটা প্রশ্ন উঠে পড়ছে বিচারবিভাগকে মন্ত্রী দ্বারা চালিত করতে চাইছে সরকার?
এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিচারবিভাগের কাছে প্রার্ছথনা করলেন, হুজুর দেশকে বাঁচান। এখানে উল্লেখ্যষ ২০২৩ সালের মার্চ মাসে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ রায় দিয়েছিল মুখ্য নির্বাচন কমিশন ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের সুপারিশ করবে একটি প্যানেল।
সেই সুপারিশ অনুয়ায়ী, প্যানেলে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা ও ভারতের প্রধান বিচারপতি। কিন্তু সেখানে প্রধান বিচারপতিকে সরিয়ে মন্ত্রী পরিষদের কোনও সদস্যকে ঢোকাতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেখানেই আপত্তি জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।