“বলছে বাংলার জনতা, প্রধানমন্ত্রী হোক মমতা , মোদীর গদি কি ছিনিয়ে নিতে পারে বাংলার বাঘিনী মমতা বন্দোপাধ্যায় ?
স্নেহা ঘোষ :আগামী বছরের লোকসভা ভোট আসন্ন । এখন থেকেই তার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে , রাজনৈতিক দল গুলি নেমে পড়েছে দেশ জুড়ে এই কাজে । উদ্দেশ্য একটাই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা। এই পরিস্থিতিতেই, রবিবার কলকাতার হাজরায় মহানায়ক উত্তম মঞ্চে এক কনক্লেভের আয়োজন করে তৃণমূল বার্তা দিল, চব্বিশে মোদী নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায় বাংলার জনগণ ।
গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে জোর ঝটকা দিয়ে বড় সাফল্য পেয়েছিল বিজেপি। ২০১৯ সালে রাজ্যে তখন বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৩। তবে লোকসভায় ১৮টি আসন ছিনিয়ে নিয়েছিল তারা। এরপর অবশ্য ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সেই ফল ধরে রাখতে পারেনি গেরুয়া শিবির। ১০০ আসনও পার করতে পারেননি দিলীপ ঘোষ এর দল । তবে সামনে আরও একটি লোকসভা নির্বাচন। যার জন্যে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন দিল্লির নেতারা।
কেন্দ্রের ক্ষমতা থেকে হঠাতে দেশের বিজেপি বিরোধী প্রায় সবকটি প্রধান রাজনৈতিক দল তৈরি করেছে। সেই জোটের অন্যতম বড় শরিক এ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।কিন্তু , আগের বারের মত এবারও কি সাফল্য পাবে বিজেপি ? নাকি এক ঝটকায় সাফল্য পেয়ে যাবে মমতা ?
সবাই এই প্রশ্নের মুখে আটকে ।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য, তৃণমূল মুখপাত্র তথা সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ , রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, , সাংসদ মালা রায়, শুভাশিষ চক্রবর্তী, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ,আইটি সেলের সভাপতি দেবাংশু ভট্টাচার্য, -সহ আরো অনেক সন্মানীয় ব্যাক্তিবর্গ ছিলেন রবিবারের কনক্লেভে। অনলাইনেও যোগ দিয়েছিলেন আরো অনেকে ।
লোকসভা ভোটের প্রচার ইতিমধ্যেই ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশ করে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস । এবার সমর্থকরাও জোরকদমে শুরু করল প্রচার । বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মমতার নাম সামনে রেখে স্লোগান তুলল তারা ।এই কনক্লেভ মঞ্চে বক্তব্য রাখেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ প্রমুখ।
ফিরহাদ মোদিকে নিশান বানিয়ে সেই সভা থেকে বলেন, – ”পরের স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় আর দাড়িওয়ালা লোকটা ভাষণ দেবে না । বাংলায় খুন খারাপি, সন্ত্রাসের কথা বলছেন। রাতে শুয়ে শুয়ে বাংলার কথাই ভাবেন। গত দেড় মাসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রেফারেন্স ছাড়া মোদী কোনও বক্তব্য রাখেননি। কারণ, “তিনি বিশ্বাস করেন, তাঁর গদি উল্টে দিতে পারেন একমাত্র বাংলার বাঘিনী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ।”
আবার তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ এদিনের সভা থেকে বলেন, ‘জোট জমানা শুরু হয়ে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদার। তিনি বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার চাই না। বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চাই। কিন্তু আপনারা তো ঘরের লোক। এই ব্যানারের ওপরে যা লেখা আছে সেটা হতেও পারে। জ্যোতি বসুর নাম যখন উঠল প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য, তখন আপনাদের সাংসদ ক’জন ছিল কমরেড? ২০০? তৃণমূল কংগ্রেস চেয়ারের জন্য এগোবে না।
কিন্তু আমরা বিয়াল্লিশে ৪২টা আসন পাওয়ার লক্ষ্যে এগোব? আজকের নতুন প্রজন্ম, যারা রাজনীতিতে এসেছে, সিপিএম জমানায় কলঙ্কিত দিনগুলোর কথা তাঁদের মনে করিয়ে দেওয়া দরকার। মরিচঝাঁপি, বিজন সেতুর কথা মনে করিয়ে দিন। সিপিএম-কংগ্রেস যদি মনে করে, ওখানে হাতে হাত ধরে বিজেপিকে সরানোর পর এখানে দুই দল তৃণমূলকে পিছন থেকে ছুরি মারবে, তাহলে কিন্তু ভাবতে হবে আমাদের।’
শিক্ষা ব্যাবস্থা , গণহত্যা আরো বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা তোলেন ।
এছাড়াও আরো অনেকে মোদিকে নিশানা করে বক্তৃতা দেই ।