ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার পরে কি ভোটে লড়াই করবেন অক্ষয় কুমার? 

0 0
Read Time:4 Minute, 17 Second

নিউজ ডেস্কঃ বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমার ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছেন। টুইট করে স্বাধীনতা দিবসে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। বলিউড অভিনেতা লিখেছেন, হৃদয় ও নাগরিকত্ব উভয়ই এখন হিন্দুস্তানি। শুভ স্বাধীনতা দিবস, জয় হিন্দ।

অক্ষয় কুমার ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার পরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তিনি রাজনীতিতে আসছেন কিনা? ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে তিনি লড়াই করবেন কিনা। এব্যাপারে অক্ষয় কুমার নিয়েই সংবাদ মাধ্যমের সামনে প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন।

অক্ষয় কুমারের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী মোদী ও বিজেপির ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ রয়েছে। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একটি অরাজনৈতিক সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি অনেক অনুষ্ঠানে মোদী প্রশংসাও করেছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী মোদী ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণেই তাঁর রাজনীতিতে আসা নিয়ে প্রশ্ন সবার আগেই এসে পড়ে। এসে পড়ে তিনি গেরুয়া শিবিরে যোগ দিচ্ছেন কিনা! এব্যাপারে এদিন অক্ষয় কুমার সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, রাজনীতিতে আসার কোনও আগ্রহ নেই। তিনি এখন ছবি করতে চান।

একজন নাগরিক দেশের জন্য যা করেন, করতে পারেন, তিনি তাই করেন। তিনি এখন জায়গা খোঁজেন, যেখানে তিনি কিছু করতে পারেন। আর যেখানে তিনি নিজে যেতে পারেন না, সেখানে টাকা পাঠানোর বন্দোবস্ত করেন। তবে তিনি রাজনীতিতে যেতে চান না। সিনেমা তৈরিতেই তিনি খুশি বলে জানিয়েছেন।

অক্ষয় কুমার ছিলন কানাডার নাগরিক। যার জন্য তাঁকে টার্গেট করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলডও হতে হয়েছে। এব্যাপারে তিনি সংবাদ মাধ্যমের সামনে নিজের খারাপ লাগার কথা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুললে তাঁর খারাপ লাগে। তিনি আরও বলেছিলেন লোকে যখন তাঁকে কানাডিয়ান কুমার বলে ডাকে, তখন তাঁর খারাপ লাগে।
অক্ষয় কুমার আরও বলেছিলেন, ভারতই তাঁর কাছে সবকিছু। যা আয় করেছেন এবং বেঁচে আছেন, সব এই ভারতেই। তবে তিনি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন, তেননা তিনি ফিরিয়ে দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।

অক্ষয় কুমার জানিয়েছেন, ১৯৯০-২০০০ সালের মধ্যে যখন তাঁর ছবিগুলি ক্রমাগত ফ্লপ হচ্ছিল সেই সময় তিনি কানাডায় কাজ শুরু করেন। সেখানে তিনি নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন। আর নাগরিকত্ব পেয়েও যান। পরে ভারতে ছবি হিট হওয়ার পরে কাজ পেতে শুরু করেন এবং ভারতে থেকে যান।
উল্লেখ্য প্রধানমন্ত্রী মোদী তথা বিজেপির সঙ্গে অক্ষয় কুমারের ঘনিষ্ঠতা থাকলেও তাঁর শ্বশুর রাজেশ খান্না ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ। ১৯৯১ সালে তিনি নয়াদিল্লিতে বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবানীর বিরুদ্ধে লড়াই করে হেরে যান। যদিও আডবাণী গান্ধীনগরে জয়ী হওয়ায় নয়াদিল্লি আসনটি ছেড়ে দেন। এরপর উপনির্বাচনে রাজেশ খান্না শত্রুঘ্ন সিনহাকে হারিয়ে জয়ী হন।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!