মমতা আইএসএলে চান মহমেডানকে

0 0
Read Time:5 Minute, 33 Second

নিউজ ডেস্ক::আজ খেলা হবে দিবসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধন করলেন মহমেডান স্পোর্টিংয়ে নবনির্মিত তাঁবু। এরপর অনুষ্ঠান মঞ্চে দাঁড়িয়েই বললেন, আগামী বছরই যাতে মহমেডান আইএসএলে খেলতে পারে তার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে।

দেশ-বিদেশের বিপুল সমর্থকদের থেকে ১ টাকা করে নিলেই আইএসএল খেলার প্রয়োজনীয় অর্থের বন্দোবস্ত করা যাবে বলে নিশ্চিত মুখ্যমন্ত্রী। বইয়ের রয়্যালটি থেকে যা টাকা পান তার থেকেও কিছুটা দিয়ে মহমেডানের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন মমতা।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, কিছু করতে গেলে জেদ থাকা দরকার। মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল আইএলএলে খেলছে। মহমেডান কেন খেলবে না? সারা দেশ-বিদেশে এত সমর্থক, এক টাকা করে দিলেই তো হয়ে যায়। সমর্থকদের টাকায় আপনারা খেলতে পারেন, সেটাই করে দেখান। যাঁর যা পুঁজি, হেল্প করুন। আমিও কন্ট্রিবিউট করব। মাইনে, পেনশন নিই না। বই লিখে যা রয়্যালটি পাই, তা থেকেই দেব। আইএফএতে খেলা হবে? জনতার গর্জন আসে, হ্যাঁ।

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এ ক্ষেত্রে বণিক সংগঠনের সহযোগিতা চাওয়া যেতে পারে। সকলেই সাহায্য করবেন। এক টাকা করে চাঁদা দিলেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পূর্ণ হয়ে যাবে। এ বছর থেকে চেষ্টা করুন যাতে আগামী বছরেই মহমেডানকে আমরা আইএসএলে দেখতে পাই। ইস্টবেঙ্গলের টিম আগে ভালো হয়নি। এবার ভালো করতে হবে। মোহনবাগানকে একটা ম্যাচে হারালে হবে না, আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হতে হবে।

মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, আইপিএলে ২ বার শাহরুখের কলকাতা টিম জিতেছে। ইডেনে খেলা হয়েছে। আমি গিয়েছিলাম, গর্ববোধ করি। আমরা ইতিমধ্যেই সাড়ে ৭ কোটি টাকার উপর খরচ করেছি। মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, মহমেডানের সঙ্গে আইএফএ অনুমোদিত ক্লাবগুলিকে টাকা দিয়েছি। ৩৫ হাজার ক্লাবকে ৫ লাখ টাকা করে দিয়েছি। অনেক স্টেডিয়াম তৈরি হয়েছে। যুবভারতীতে ঢোকার সময় যে মূর্তি রয়েছে সেটার লোগো আমি তৈরি করেছিলাম।
মহমেডান প্রসঙ্গে মমতা বলেন, মাঠটা সুন্দর হয়েছে। গ্যালারি যা হয়েছে সেটা ভরাট করতে হবে। বর্ষায় সকলে ভিজছেন। এমনিতে গ্যালারি খোলাই থাকে। তবুও ভরাট করতে হবে। বাকেট চেয়ার দরকার। আর্মির সঙ্গে কথা বলে নেবেন, সেনাবাহিনী সর্বদা সহযোগিতা করে। মহমেডানের সমর্থকরা বলেন, জান জান মহমেডান। সকলেই হৃদয় দিয়ে ক্লাবকে ভালোবাসেন। এরপরই স্টেডিয়াম সংস্কারে ৬০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, চিনে স্পোর্টস স্কুল রয়েছে। স্পোর্টসের সময় পড়ুয়াদের পড়াশোনা করতে হয় না। আমাদের এখানে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে যাঁরা ভালো খেলেন, তাঁদের খেলার সময় পড়াশোনার দরকার নেই। অনলাইন বা অন্যভাবে পড়াশোনা করার ব্যবস্থা করতে হবে। যে পড়ুয়ারা খেলাধুলোতে ভালো তাঁদের ক্রীড়া দফতর কম্পিউটার দেবে।
খেলা হবে যে তাঁরই স্লোগান তা জানিয়ে মমতা বলেন, মা মাটি মানুষ, জাগো বাংলা, জয় বাংলার মতো খেলা হবে মুখ দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল। আমি খেলা খুব ভালোবাসি। খেলা, গান প্রিয়। মহমেডান স্পোর্টিং, ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানকে বঙ্গবিভূষণ দিয়েছিল, ক্লাবগুলিকে সম্মান জানিয়ে। তারা এটা ডিজার্ভ করে। মিছিল মিটিংয়ে লোক না হলেও সল্টলেক স্টেডিয়ামে মোহনবাগান, মহমেডান, ইস্টবেঙ্গলের খেলা দেখতে মাঠ ভরে যায়।

স্বাধীনতা দিবসের প্যারেডে ভালো পারফর্ম করা কলকাতা পুলিশের ডেয়ারডেভিল টিম ও পুরুলিয়ার সৈনিক স্কুলকে পুরস্কার প্রদান করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পুরস্কার পেল সুন্দরবনের স্কুল। সেরা ট্যাবলো ক্রীড়া দফতরের। মহম্মদ হাবিব ও সুপ্রকাশ গড়গড়ির প্রয়াণে নীরবতা পালন করা হয়। ২০০৯ সালের পর এই প্রথম মহমেডান তাঁবুতে এলেন মমতা। ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায় ও আসলাম পারভেজকে দেওয়া হলো শান-ই-মহমেডান সম্মান।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!