বাংলায় সবচেয়ে বড় দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই
নিউজ ডেস্ক::বাংলায় সবচেয়ে বড় দুর্নীতি। যার তদন্ত করবে সিবিআই। তৃণমূলের কয়েকশো লোক তদন্তের আওতায় আসবেন। আজ নন্দীগ্রাম থেকে এমনই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
উত্তর দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ-সহ বিভিন্ন জেলায় দুর্নীতির খতিয়ান তাঁর কাছে রয়েছে বলেও দাবি করেছেন শুভেন্দু। তিনি যা ইঙ্গিত দিলেন, তাতে তৃণমূলের ঘুম ছুটবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
কয়লা, গরু পাচার, বোমা বিস্ফোরণ, শিক্ষা দুর্নীতি-সহ প্রচুর কেলেঙ্কারির তদন্ত করছে সিবিআই। যার বেশিরভাগই হচ্ছে আদালতের নির্দেশে, কিংবা আদালতের মনিটরিংয়ে। এরই মধ্যে আরও একটি মামলার তদন্তভার পেয়েছে সিবিআই। যে কেলেঙ্কারির জাল বিছিয়ে রয়েছে বাংলাতেও। গতকালই সংখ্যালঘু স্কলারশিপ দুর্নীতির তদন্তভার পেয়েছে সিবিআই।
কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রকের নজর এসেছে ন্যাশনাল স্কলারশিপ পোর্টালে যে ১৫৭২টি প্রতিষ্ঠানের নাম নথিবদ্ধ রয়েছে তার মধ্যে ৮৩০টি উপভোক্তাই জাল। ক্লাস ওয়ান থেকে এইট অবধি স্কলারশিপ বন্ধের সিদ্ধান্ত কেন্দ্র নেওয়ার পর প্রতিষ্ঠানগুলির তরফে প্রতিবাদ আসেনি। তাতেই নড়েচড়ে বসে কেন্দ্র। সংখ্যালঘুদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের যোগসাজশেই এই দুর্নীতি বলে অভিযোগ।
ন্যাশনাল কাউন্সিল অব অ্যাপ্লায়েড ইকনমিক রিসার্চের স্ক্রুটিনিতে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। দুর্নীতির পরিমাণ ঠিক কত তা নিশ্চিতভাবে জানা যাচ্ছে না। প্রাথমিকভাবে ১৪৪ কোটি টাকার নয়ছয়ের বিষয় সামনে এলেও শুভেন্দু অধিকারী আজ বলেন, বাংলায় এই মাইনরিটি স্কলারশিপের দুর্নীতি সবচেয়ে বড় দুর্নীতি। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া, করণদিঘির নথি রয়েছে, ২ হাজার কোটি টাকা চুরি করা হয়েছে।
মুর্শিদাবাদও এই দুর্নীতির তদন্তের আওতায় আসবে বলে দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতার। তিনি বলেন, বহু জায়গায় তৃণমূলের কয়েকশো লোক সিবিআইয়ের হাতে পড়বেন।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে বুদ্ধদেব সাউকে নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বুদ্ধদেব সাউয়ের রাজনীতি-যোগের কথা তুলে ধরে সরব তৃণমূলকে পাল্টা দিয়েছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, রাজ্যপাল সব নিয়ম দেখেই অন্তর্বর্তী উপাচার্য বেছেছেন। অন্য কেউ হলে তিনি প্রগতিশীল, রাজ্যপাল কাউকে ঠিক করলে তিনি প্রতিক্রিয়াশীল, এটা হয় না। মামার বাড়ির আবদার নয়।
শুভেন্দু বলেন, ওমপ্রকাশ মিশ্রকে যখন উত্তরবঙ্গে পাঠানো হয়েছিল তখন তিনি কোন দলে ছিলেন? উপাচার্যরা তো তৃণমূলের পার্টি প্রোগ্রামে বসে থাকেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশবিরোধী শক্তি মধ্যযুগীয় বর্বরতা, র্যাগিং চালাচ্ছে। তা দক্ষ হাতে বন্ধ করতে শক্তিশালী ভিসি দরকার ছিল।
নন্দীগ্রাম ১ নং পঞ্চায়েত সমিতিতে স্থায়ী সমিতি, কর্মাধ্যক্ষ চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ায় তৃণমূলের চেয়ে বিজেপি সুবিধাজনক জায়গায় আছে বলে দাবি করেন শুভেন্দু। এদিন তিনি ফের বলেন, সিপিআইএম লোকেদের বহিষ্কার করতে করতে পার্টিটাই উঠে যাবে। নীচের তলায় ওদের লোকেরা আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। সোনাচূড়ায় আমরা জিতেছি, পুরানো সিপিআইএমের লোকেরা বিজেপিকে ভোট দেওয়ায়।