বিক্রমের প্রথম বার্তা – উদ্বেলিত ইসরোর বিজ্ঞানীরা

0 0
Read Time:3 Minute, 11 Second

নিউজ ডেস্ক: ২০২৩ সালের ২৩ আগস্ট ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞানের একটা বিশেষ দিন। সন্ধ্যা ৬.৪ মিনিটের চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রেখেই ভারত সৃষ্টি করলো নব ইতিহাস। চাঁদের মাটি ছোঁয়ার পর, পৃথিবীতে যে বার্তা পাঠিয়েছে, ট্যুইটারে (অধুনা X) তা পোস্ট করেছে ISRO.  ল্যান্ডার ‘বিক্রম’কে উদ্ধৃত করে লেখা হয়,
”ভারত, গন্তব্যে পৌঁছে গিয়েছি আমি। লক্ষ্যপূরণ হল তোমারও”।

ভারতবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছে ISRO-ও। ১৪০ কোটির দেশ ভারতবর্ষ। আপামর জনগণ আজ আত্মহারা। চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানের ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ কখন চাঁদের মাটিতে নামবে, গত কয়েক দিন ধরেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল গোটা দেশ। ভারতীয় সময় অনুযায়ী, বিকেল ৫টা বেজে ৪৫ মিনিটে অধোগমনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। আগে থেকে ঠিক করে রাখা সময়ে, সন্ধে ৬টা বেজে ৪ মিনিটে শেষ মেশ চাঁদের মাটিতে পদার্পণ করে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’। ব্যাস শুরু হলো ল্যান্ডার বিক্রমের কাজ। প্রথম বার্তা দিয়েই সুচিত হলো সেই কাজ।

গত দুদিন ধরে বার বার করে পরীক্ষা করা হয়েছে বিক্রমের স্বাস্থ্য ও চাঁদের মাটির অবস্থান। তার পরেই সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ইঞ্জিন থেকে যন্ত্রাংশ, কোথাও কোনও গলদ বা ত্রুটি রয়েছে কিনা, শেষ মুহূর্তে কোনও বিপত্তি বাধতে পারে কিনা, বার বার করে তা খতিয়ে দেখেন বিজ্ঞানীরা। যথেষ্ট সময় নিয়েই কার্য সম্পাদন করা হয়, যাতে তাড়াহুড়োতে কিছু চোখ এড়িয়ে না যায়। তাতেই সুফল মিলল। ইসরোর এক বারের জন্য তাড়াহুড়ো করে নি। যে তাড়াহুড়ো করে লুনা-২৫ ধ্বংস হল। ২০১৯ সালে চন্দ্রযান-২ অভিযানে ঠিক শেষ মুহূর্তে বিপত্তি বাধে। পালকের মতো চাঁদের মাটি ছোঁয়ার পরিবর্তে, আছড়ে ভেঙে পড়ে চাঁদের বুকে। সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েই, এবার ধীরস্থির গতিতে গোটা অভিযান এগিয়ে আনা হয়। ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ও আগের চেয়ে ঢের বেশি শক্তপোক্ত এবং মজবুত। শুধু তাই নয়, সেন্সরেও পরিবর্তন ঘটানো হয়েছিল। চাঁদের দক্ষিণ মেরুর বন্ধুর ভূমি। কিন্তু সঠিক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে নজির গড়লো ইসরোর। ইসরোকে অভিনন্দন জানিয়গে নাসা।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!