মোদীকে জড়িয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন
নিউজ ডেস্কঃ ভারতের সম্মান আজ শিখরে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে এগিয়ে থাকা বিশ্বের তাবড় দেশকে পিছনে ফেলে ভারত চাঁদের মাটি স্পর্শ করতেই ইসরোর কক্ষ থেকে শোনা গেল উল্লাস ধ্বনি। চার বছর ধরে দিন-রাত এক করে ভারতবাসীকে এই মুহূর্ত উপহার দেওয়ার লড়াই যাঁরা লড়েছেন, তাঁদের কুর্নিশ জানাচ্ছেন সবাই।
ইসরো ( Isro) চেয়ারম্যান এস সোমনাথ কে ঘিরে গোটা হল ফেটে পড়ছে করতালিতে। সাফল্যের আবেগেও চার বছর আগের সেই রাতটা আজও ভোলেনি আপামর দেশবাসী। সেদিন চন্দ্রাভিযানের ব্যর্থতা চোখে জল এনে দিয়েছিল মহাকাশ বিজ্ঞানী কে সিভনের।
আসলে চন্দ্রযান ৩ ( Chandrayaan 3) শুধুই সাফল্যের গল্প নয়, এক জীবনবোধের গল্প লিখেছে আজ। ব্যর্থতা থেকে কীভাবে উঠে দাঁড়াতে হয়, ভুল শুধরে কীভাবে ঘুরে দাঁড়ানো যায়, সেই অনুপ্রেরণার নজির তৈরি করেছে ইসরোর এই সাফল্য। তাই মহাকাশ গবেষণা সংস্থার প্রাক্তন চেয়ারম্যান কে সিভানের কথা স্মরণ করেছেন অনেকেই। সেই মুহূর্তের ছবি আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
২০১৯-এর চন্দ্রযান ২ ( Chandrayaan 2) সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হলেও শেষ মুহূর্তে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে। যদিও রোভার সফলভাবেই প্রতিস্থাপিত হয়েছিল চাঁদে। সেই সময় ভেঙে পড়েছিলেন তৎকালীন চেয়ারম্যান কে সিভান ( Kailasavadivoo Sivan)। গলা ধরে এসেছিল তাঁর। ইসরোর দফতরে তখন উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ( PmModi)।
কে সিভানকে ( K Sivan) বুকে জড়িয়ে শান্তনা দিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সেই মুহূর্তের ছবিই আবার অনেকে পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তারপর থেকে চার বছর ধরে লড়াই চলেছে। ইসরোর বিজ্ঞানীদের শপথ ছিল, সাফল্য ছুঁতেই হবে। কোনও ভুল যেন না হয়, তার জন্য কার্যত দু চোখের পাতা এক করেননি তাঁরা।
সাহায্য করেছে নাসাও। আজকের এই সাফল্যের পর বিজ্ঞানী কে সিভান বলেছেন, ‘আমরা এই মুহূর্তের জন্যই অপেক্ষা করেছিলাম।’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও এদিন বলেছেন, ‘পরাজয় থেকে শিখে কীভাবে সাফল্য পেতে হয়, তার উদাহরণ হয়ে থাকবে আজকের দিনটা।’