দত্তপুকুর বিস্ফোরণ স্থল পরিদর্শনে NIA
নিউজ ডেস্ক::তদন্তের নির্দেশ না থাকলেও দত্তপুকুরে হাজির এনআইএ-র টিম। স্বতোঃপ্রণোদিত হয়েই তাঁরা তদন্ত শুরু করেছে। এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করতে পৌঁছে গিয়েছে। গতকালের ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর দত্তপুকুরে একাধিক জায়গা থেকে নানা ধরনের বিস্ফোরক তৈরির রাসায়নিক উদ্ধার হয়েছে।
এনআইএর- দুই আধিকারীক দত্তপুকুরের বিস্ফোরণ স্থল ঘুরে প্রাথমিক নমুনা সংগ্রহ করেছে। এডিজি দক্ষিণবঙ্গও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। তিনিও এলাকা ঘুরে দেখেছেন। বিস্ফোরণের তীব্রতার পরে একে কেবল বাজি কারখানার বিস্ফোরণ বলে মেনে নিতে নারাজ সকলেই। গতকালের বিস্ফোরণের তীব্রতায় লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে গোটা এলাকা। একাধিক পাকা বাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে। গুঁড়িয়ে গিয়েছে আশপাশের বাড়িঘর।
গতকাল দিনভর তল্লাশি চালিয়ে ঘটনাস্থলের সংলগ্ন এলাকা থেকে একাধিক নিষিদ্ধ রাসায়নিক উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে বেশ কয়েক ড্রাম রাসায়নিক। যেগুলি বাজি তৈরিতে ব্যবহার হয়না। বাড়ির কাছে একটি রাসায়নিক ল্যাবরেটরিও সন্ধান মিলেছে। বোরিয়াম নাইট্রেটের সন্ধান মিেলছে ঘটনাস্থল থেকে। তার থেকেই এই ঘটনায় খাগড়াগড়ের ছায়া রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিস্ফোরণের এখনও পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। বাজি কারখানার অন্যতম মালিক কেরামত আলির মৃত্যু হয়েছে বিস্ফোরণে। চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে দেহ। আজ সকালেও ঘটনাস্থলের কয়েকশো মিটারের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে দেহাংশ, মুন্ডহীন দেহ। তারমধ্য ৩ জনের পরিচয় জানা গিয়েছে। বাকি ৬ জনের কোনও পরিচয় জানা যায়। এই ঘটনায় মুর্শিদাবাদের অনেক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ইতিমধ্যেই হাইকোর্টে সিবিআই এবং এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেসের পক্ষ থেকে গতকাল থেকেই এনআইএ তদন্তের দাবি জানানো হয়েছিল। কারণ বাজি কারখানার আড়ালে বোমা তৈরি হত বলে দাবি করা হয়েছে বিরোধীদের পক্ষ থেকে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।