বড় ঘোষণা মমতার

0 0
Read Time:5 Minute, 19 Second

নিউজ ডেস্ক::ইকো পার্কের কাছে মিষ্টি হাব গড়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে এক ছাদের তলায় কলকাতার নামকরা মিষ্টির দোকানের রকমারি মিষ্টির সম্ভার রয়েছে। এবার তার বিপরীতেই হচ্ছে মিষ্টান্ন।

আজ মধ্য কলকাতার এক হোটেলে পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে মিলন উৎসব সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বেশ কিছু বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আসন্ন বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনে জোর দেওয়া হচ্ছে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ বা এমএসএমই-র উপর। বিজিবিএসে আমন্ত্রণ জানানো হবে পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীদেরও। মিষ্টি বিদেশে রফতানির জন্য বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনের বিষয়টির উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

মিষ্টি হাবের সাফল্যের পাশাপাশি আরও একটি নয়া উদ্যোগের কথাও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আপনারা আমার কাছে ১০ টাকা চাইলে, আমি ২০ টাকা দেব। আমি আপনাদের সঙ্গেই রয়েছি। মিষ্টি হাবের ঠিক উল্টোদিকে আপনাদের ১ টাকার বিনিময়ে সরকার জমি দেবে। নবান্নের সঙ্গে নাম মিলিয়ে সেখানে গড়ে তোলা হবে মিষ্টান্ন।

মিষ্টান্ন তৈরির বিষয় পরবর্তী মন্ত্রিসভার বৈঠকে চূড়ান্ত হয়ে যাবে বলেও ঘোষণা করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ওখানে সব জেলার একটা করে স্টল থাকবে। বিখ্যাত মিষ্টিগুলি থাকবে। ডায়াবেটিকদের কথা মাথায় রেখে কম বা হাল্কা মিষ্টির রকমারি মিষ্টি বানাতেও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, আমি চাই বাংলার সব মিষ্টি জিআই পাক।
অভিনব মিষ্টির কথা বলতে গিয়ে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জন্মদিন সেলিব্রেট করা হয় কেক কেটে। কিন্তু জন্মদিনে পায়েসও গুরুত্বপূর্ণ। তাই পায়েস কেক বানান। ছানার কেকের মধ্যে চালের পায়েস রেখে নয়া মিষ্টি বানানোর আইডিয়াও দেন মুখ্যমন্ত্রী। সমালোচকদের কটাক্ষকে পাত্তা না দিয়ে তিনি বলেন, আমি বলি অভিজ্ঞতার নিরিখে। নতুন মিষ্টিতেও তিনি আইডিয়া দিতে পারেন।

রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সরকার মিষ্টি হাব গড়ে তুলছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। এ ছাড়া এমএসএমই দফতর মৌলালির কাছে মিষ্টির ক্লাস্টার গড়ে তুলছে বলেও জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ১ থেকে ১৮ তারিখ অবধি দুয়ারে সরকার চলবে। রাজ্য সরকারের ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড স্কিম রয়েছে। সরকারই গ্য়ারান্টার। এই প্রকল্পের আওতায় মিষ্টি ব্যবসায়ীরাও আসবেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা সফট লোন পাবেন। দোকানে কর্মচারী রাখতে পারবেন। দোকান সাজিয়ে-গুজিয়ে রাখতে হবে। ফুচকাও রাখা যেতে পারে। গুজিয়া, বোঁদে থেকে সকালে কচুরি রাখার কথাও বলেন। দোকানের কর্মচারীদের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে নাম লেখানোরও পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, বাড়ির মহিলারাও ভালো কাজ করতে পারদর্শী।

ভিনরাজ্যে গিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যুর প্রসঙ্গও ওঠে। দুয়ারে সরকার প্রকল্পে পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম লেখানোর বন্দোবস্ত থাকছে। তাঁদের জন্যও বিশেষ ভাবনা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অন্য রাজ্য থেকে এ রাজ্যে এসে অনেকেই কাজ করেন নিরাপদে। আর অন্য রাজ্যে কাজে গিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকরা শবদেহ হয়ে ফেরেন।
তাঁদের পরিবারকে সরকার ক্ষতিপূরণ দিয়ে থাকে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ক্ষতিপূরণ দিতে গেলে যে টাকা দিতে হয়, তার চেয়ে আপনারা রাজ্যেই থাকুন। আমরা আপনাদের সহযোগিতা করব। দোকান করলেও তা ভালো চলবে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!