রাজ্যসভায় পেশ মহিলা সংরক্ষণ বিল
নিউজ ডেস্কঃ বুধবার লোকসভায় ৪৫৪/২ ভোটে মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ হওয়ার পরে তা এদিন রাজ্যসভায় পেশ করেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল। গত তেরো বছরে বেশ কিছু আঞ্চলিক দল মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করেছে। এই মুহূর্তে তারা বিলের পক্ষে সমর্থন দিয়েছে। ফলে মহিলা সংরক্ষণ বিল যে রাজ্যসভায় অতি সহজেই পাশ হবে তা একরকম নিশ্চিত।
২০১০ সালে এই বিলের অন্যতম বিরোধিতা করা সমাজবাদী পার্টি বুধবার লোকসভায় বিলকে সমর্থন করার মাধ্যমে অবস্থান পরিবর্তন করে। শুধু সমাজবাদী পার্টিই নয়, বহুজন সমাজ পার্টিও সংবিধান সংশোধনী বিলকে সমর্থন করে। এই দুই দল ক্যাভিয়েটের মাধ্যমে বুধবার তাদের অবস্থান পরিবর্তনের কথা জানায়।
লোকসভায় সমাজবাদী পার্টির সাংসদ এসটি হাসান বলেছেন, তারা বিলের পক্ষে ভোটে দিয়েছেন, অনেকগুলি প্রশ্ন রেখে। তারা ওবিসি, সংখ্যালঘু ও মহিলা সংরক্ষণের বাস্তবায়ন অবিলম্বে চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন এসটি হাসান।
কিন্তু ১৩ বছর আগে যখন রাজ্যসভা একই রকমের একটি বিল পাস করেছিল, তখন দৃশ্যটি ছিল অন্য রকমের। এসপি সাংসদ নন্দকিশোর যাদব এহং কামাল আখতার চেয়ারম্যান হামিদ আনসারির টেবিলের ওপরে উঠেছিলেন। নন্দ কিশোর যাদব একটি মাইক্রোফোন উপড়ে ফেলেন। সেই সময় দলেরই সাংসদ বীরপাল সিং যাদব-সহ অনেককেই সেই সময় সাসপেন্ড করা হয়েছিল।
১৩ বছর আগে ২০১০ সালে লোকসভায় বিলের তীব্র বিরোধিতা হয়েছিল। সেই সময় তিন যাদব মূলায়ম সিং যাদব, শরদ যাদব এবং লালুপ্রসাদ যাদব এই বিলের তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন। এই বিলের বিরুদ্ধে ২০১০ সালে জোরালো অবস্থান নিয়েছিলেন তৎকালীন জেডিইউ প্রধান শরদ যাদব। তিনি বলেছিলেন বর্তমাব আকারে বিল পাশ করানো হলে তিনি হাউসে বিষ খাবেন।
পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ১৩ বছর পরে সবকটি রাজনৈতিক দল এই বিলটিকে গ্রহণ করেছে। তারা বুঝতে পেরেছে সংসদ এবং রাজ্য বিধানসভাগুলিতে মহিলা প্রতিনিধিত্বকে উপেক্ষা করা যাবে না। গত দুই দশকে মহিলারা সক্রিয়ভাবে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহণ করেছেন। বিহারে নীতীশ কুমারের সাফল্যের পরে দেখা গিয়েছে মহিলা ভোটাররা সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন।
এই মুহূর্তে দুঃখজনকভাবে কম হলেও, রাজ্যসভায় মহিলা প্রতিনিধিত্ব সামান্য বেড়েছে। বর্তমানে রাজ্যসভায় মহিলা প্রতিনিধির সংখ্যা ১৩.০২। ২০০৮ থেকে ২০১০-এর মধ্যে যা ৯.৭৯ শতাংশ থেকে ১১.১৫ শতাংশে পৌঁছেছিল। উল্লেখ করা প্রয়োজন যে এদিন বিভিন্ন দলের ১৪ জন মহিলা সাংসদ রাজ্যসভায় বিতর্কে অংশগ্রহণ করবেন।