আইনমন্ত্রীকে কেন এমন বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
নিউজ ডেস্কঃ নির্ধারিত সময়ের আগেই আদালতে হাজিরা দিলেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক! বুধবার বিকেল পাঁচটার মধ্যেই তাঁকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। হাজিরা না দিলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও কার্যত বার্তা দেওয়া হয়।
আর এরপরেই তড়িঘড়ি আদালতে পৌঁছে যান আইনমন্ত্রী। পাঁচটার আগেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে পৌঁছে যান তিনি। আর তাঁকে দেখেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ভুল বুঝবেন না। আপনার হাসি মুখ দেখতেই ডেকেছি।এরপরেই বিচারপতির প্রশ্ন, আপনারা কাছে একটা ফাইল পরে রয়েছে। ওটা একটু ছেড়ে দেবেন।
প্রত্যুত্তরে আইনমন্ত্রী বিচারপতিকে জানান, অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। ৪ দিন আগেই ছাড়া পেয়েছি। আগামী ১৫ দিন বিশ্রাম নিতে বলেছেন চিকিৎসকরা। তবে এই বিষয়ে আদালতের কাছে সময় চেয়ে নেন আইনমন্ত্রী। বলেন, দুদিন আরও সময় দিন। দ্রুত পদক্ষেপ নেব। এরপরই বিচারপতি ২ দিন বাড়িয়ে ৬ অক্টোবরের মধ্যে বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়ের বদলি কার্যকর করতে বলেন।
কুন্তল চিঠি মামলায় নিম্ন আদালতের বিচারককের ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ জানান সিবিআই সিটের প্রধান অশ্বিন সিংভি। একই সঙ্গে এই মামলায় কীভাবে পুলিশের হেনস্তার মুখে তাঁদের পড়তে হচ্ছে সে বিষয়েও আদালতের কাছে অভিযোগ জানান সিট প্রধান। যা শুনে রীতিমত অবাকই হন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গপাধ্যায়। আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কীভাবে হস্তক্ষেপ তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মাননীয় বিচারপতি।
এমনকি তাঁকে সরানোর কথাও বলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আর তা কথা বলতে গিয়ে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, শুনেছি, বিচারক অপর্ণ চট্টোপাধ্যায়ের বদলির নির্দেশ হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। তাঁর মাথায় কারও হাত রয়েছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ থাকছে।” এরপরেই সচিবকে তলব করেন বিচারপতি।
কেন অপর্ণ চট্টোপাধ্যায়কে বদলি করা হচ্ছে তা নিয়ে জিজ্ঞেস করেন। আদালতকে সচিব জানান, মন্ত্রীর কাছে ফাইল আছে। এরপরেই আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে তলব করেন বিচারপতি। সেই মতো আদালতে হাজিরা দেন এবং এই বিষয়ে সময় চেয়ে নেন। আর তা মঞ্জুত করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।