২০৫০ নাগাদ কোথায় দাঁড়াবে ভারতের জনসংখ্যার বিন্যাস
নিউজ ডেস্কঃ ভারতে প্রবীণ নাগরিকদের সংখ্যা নিয়ে একটি রিপোর্টে সতর্ক করা হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফল পপুলেশন সায়েন্সেসের সহযোগিতায় রাষ্ট্রসংঘের জনসংখ্যা তহবিল(UNFPA) ইন্ডিয়া এজিং রিপোর্ট ২০২৩ অনুসারে ভারতের জনসংখ্যার এক পঞ্চমাংশ ২০৫০ সালের মধ্যে ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে থাকবে। ততদিনে বয়স্করা শূন্য থেকে ১৪ বছরের মধ্যে শিশুদের সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে যাবে।
প্রতিবেদন অনুসারে ২০২২ সালের ১ জুলাই পর্যন্ত ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা ছিল প্রায় ১৫ কোটি। যা দেশের জনসংখ্যার প্রায় ১০.৫ শতাংশ। ২০৫০ সালের মধ্যে এই জনসংখ্যা দ্বিগণ হয়ে ২০.৮ শতাংশ হবে। সংখ্যায় হবে প্রায় ৩৪ কোটির বেশি। আর এই শতাব্দীর শেষ নাগাদ দেশের মোট জনসংখ্যার ৩৬ শতাংশের বেশি বয়স্ক হবেন, প্রতিবেদনে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতে বয়স্ক জনসংখ্যা অভূতপূর্ব হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, মধ্য শতাব্দীর মধ্যে তা শিশুদের জনসংখ্যাকে ছাড়িয়ে যাবে। ২০৫০ সালের ৪ বছর আগে ভারতে বয়স্কদের জনসংখ্যায় বয়স্কদের সংখ্যা শূন্য থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের জনসংখ্যার আকারের থেকে বেশি হবে। সেই সময়ের মধ্যে ১৫-১৯ বছরের জনসংখ্যাও কমবে। আগামী দশকগুলিতে আজকের তরুণ সমাজের দ্রুত বার্ধক্যপূর্ণ সমাজে পরিণত হওয়ার কারণেই তা ঘটবে বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বয়স্কদের মধ্যে ৪০ শতাংশের বেশি দরিদ্রতম হবেন। UNFPA-এর ইন্ডিয়া এজিং রিপোর্ট ২০২৩ অনুসারে বয়স্কদের মধ্যে দারিদ্রের এই হার জীবনযাত্রার মান ও স্বাস্থ্য পরিষেবাকে প্রভাবিত করবে।
বর্তমানে ভারতে ৩৫ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে কিশোর ও যুবকরা ৬৫ শতাংশ, যা জনসংখ্যায় বিশ্বের সব থেকে বেশি। তবে রাজ্যব্যাপী বয়স্ক জনসংখ্যার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। যেমন হিমাচল প্রদেশ ও পঞ্জাবে ২০২১ সালে বয়স্কদের সংখ্যা ছিল জাতীয় গড়ের তুলনায় বেশি।
প্রতিবেদনে ২০১৪-২০২১ সালের মধ্যে কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটির অধীনে বয়স্কদের জন্য ১২৫৯.৬ বিলিয়ন ব্যয় করা হয়েছে, যা সাত বছরে ১৮২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বলা হয়েছে ২০১৪ সাল থেকে প্রবীণ নাগরিকদের কল্যাণে সিএসআর ব্যয় ৫১৬ শতাংশ হওয়া সত্ত্বেও গত সাত বছরে মোট ব্যয়ের ০.৩ শতাংশের কম রয়ে গিয়েছে।