দিলীপ-অনুগামী সায়ন্তন কি সক্রিয় হবেন বিজেপিতে
নিউজ ডেস্ক::বঙ্গ বিজেপিতে যে আদি-নব্যের চোরাস্রোত বইছে, তা ফের স্পষ্ট হল। শুক্রবার বিজেপি সদর দফতরে ঘরহারা দিলীপ ঘোষ এসেছিলেন কার্যালয়ে। বহুদিন পর তাঁর অনুগামী নেতা সায়ন্তন ঘোষকেও দেখা গেল বিজেপির সদর দফতরে। কেন তাঁকে সক্রিয় রাজনীতিতে দেখা যাচ্ছে না, প্রশ্ন করা হয়েছিল। তাঁর জবাবেই স্পষ্ট অভিমান।
বঙ্গ বিজেপি এখন নতুনদের হাতে। একুশের পরই দিলীপ ঘোষের হাত থেকে ব্যাটন কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তা তুলে দেওয়া হয়েছে তরুণ-তুর্কি নেতা সুকান্ত মজুমদারের হাতে। তারপর থেকেই সায়ন্তন বসুদের মতো প্রথম সারিতে রাজ্য নেতারা পড়ে গিয়েছেন ব্যাকফুটে। তাঁদের আর বিজেপির সামনের সারিতে দেখাই যায় না!
এদিন হঠাৎই দিলীপ ঘোষের সঙ্গে দেখা করতে বিজেপির সদর দফতরে এসেছিলেন সায়ন্তন বসু। দিলীপ ঘোষের রাজ্য সভাপতি থাকাকালীন সায়ন্তন ছিলেন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদে। এখন তিনি পদাধিকারী নন। সেই খেদ ধরে পড়ল তাঁর কথায়। তিনি নিজেকে বিজেপির একনিষ্ঠ কর্মী ও সাধারণ নাগরিক হিসেবে বর্ণনা করলেন।
সায়ন্তন বসু এদিন বলেন, তিনি বিজেপিতেই আছে, সক্রিয়ই আছে। বিজেপির কর্মসূচিতেও আছে। পার্থক্য শুধু এই আগে আমার কর্মসূচি মিডিয়াকে জানাতাম, এখন জানাই না। কিন্তু কেন? দিলীপ অনুগামী নেতা জানিয়ে দেন, তখন পদাধিকারী ছিলাম তাই জানাতাম। এখন পদাধিকারী নই, তাই জানাই না।
আর এ জন্যই সংবাদ মাধ্যমে তাঁকে খুঁজে পায় না বলে ব্যাখ্যা দিলেন সায়ন্তন বসু। সম্প্রতি বিজেপির সদর দফতর মুরলিঘর সেন লেনে ঘর হারিয়েছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তা সত্ত্বেও তিনি এদিন দেখতে এসেছিলেন বিজেপির সদর দফতরের কাজ।
সেখানে এসেই দিলীপ ঘোষ বলেন, আমি তো রাস্তায় বসে চা খাই, আমার বসার চিন্তা কী আছে। মুরলী ধর সেন লেনের দফতরে ঘরছাড়া দিলীপ শুক্রবার অভিমান ভরে বুঝিয়ে দিলেন তিনি রাস্তায় থাকা লোক। তিনি কর্মীদের নেতা। তাঁর ঘরের প্রয়োজন হয় না। তিনি রাস্তাতেই সাবলীল।
আর তাঁর সময়ে দলের সাধারণ সম্পাদক থাকা সায়ন্তন বসু দীর্ঘদিন বাদে অফিসে এসে তিনি বুঝিয়ে দিলেন, তিনি রাজনীতি থেকে খানিক দূরেই। দলীয় দফতরে তাঁকে আর আগের মতো দেখা যায় না। প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আসা মাত্র তিনিও এলেন। সরাসরি কারণ না জানালেও তিনি বলেন, কিছু পূজোর উদ্বোধন নিয়ে দিলীপ ঘোষের ডেট নিতে এসেছি।
তবে দাবি করে গেলেন, তিনি রাজনীতির মধ্যেই আছেন। আর বিজেপিতেই আছেন। কিন্তু ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে তাঁর সক্রিয় হওয়ার কোনও আভাস পাওয়া গেল না। একদা বিজেপির প্রথম সারির অন্যতম মুখ যে নতুনদের ভিড়ে পিছনে চলে গিয়েছেন, সেটাই প্রতিভাস হল এদিন আবার।