রাত জেগে নদী পাহাড়া দিচ্ছে গ্রামবাসী

0 0
Read Time:2 Minute, 40 Second

নিউজ ডেস্কঃ এ বছর বর্ষকালে বৃষ্টি কম হয়েছে। আর সেই ঘাটতি প্রকৃতি পূরণ করছে ভাদ্র মাসে। উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র প্রবল বৃষ্টি। এই অবস্থায় সুন্দরবনের মানুষের কপালে ভাঁজ। সুন্দরবনের তিন নদীর একাধিক বাঁধের ৮০০ থেকে ৯০০ ফুট ধস, চিন্তার ভাঁজ সেচ দপ্তরের কপালে। বসিরহাটের সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের সাণ্ডেলেরবিল গ্রাম পঞ্চায়েতের আমবেড়িয়া, বাঁকড়া, ডোবর ও ১৩নং সাণ্ডেলেরবিল সহ একাধিক এলাকার মানুষ বাঁধ ভাঙার আতঙ্কে রাত জেগে নদী বাঁধের পাহারা দিচ্ছে। ইছামতি, কালিন্দী ও রায়মঙ্গল এই তিনটি নদীর মোহনা আর ঠিক সেখানেই দেখা দিয়েছে নদী বাঁধের ভয়াবহ ফাটল। মাটির বাঁধের বড় বড় চাই ভেঙে পড়ছে নদীতে। ধস নেমে যাচ্ছে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে। তিস্তার ভয়ঙ্কর রূপের খবর ওদের কাছে আছে। তাই ওরা আরও চিন্তিত।

সাণ্ডেলেরবিল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পরিতোষ বিশ্বাস বলেন, “বর্তমানে নদী ভাঙতে ভাঙতে বড় রাস্তার ধারে এসে পৌঁছেছে। রাস্তায় ফাটল দেখা দিয়েছে। যে কোন মুহূর্তে বড়সড় দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পারে গ্রামবাসীরা। আমি একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, আশা করছি সমস্যার সমাধান হবে।” নদী বাঁধের পাইলিং দেওয়ার জন্য সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে নদীর পাড়ে আনা হয়েছে বাঁশের পিন ও তারের জাল। ইট দিয়ে তারের জাল ও বাঁশের খাঁচা তৈরি করে নদীর পাড়ে বসিয়ে বাঁধ রক্ষার কাজ শুরু হবে। কিন্তু নদীর যা ভয়াবহ অবস্থা, যেভাবে জলোচ্ছ্বাস শুরু হয়েছে সেখানে বাঁশ ও তারের জাল দিয়ে ভয়াবহ ভাঙ্গন রক্ষা করা কি সম্ভব? প্রশ্ন তুলছে সুন্দরবনের নদী বাঁধ পাড়ের মানুষ। এই মুহূর্তে বৃষ্টি বন্ধ না হলে বিপদ অনিবার্য। সন্ত্রস্ত গ্রামের মানুষ।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!