কলকাতায় সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি

0 0
Read Time:3 Minute, 55 Second

নিউজ ডেস্ক::২৪ ঘণ্টার বেশি সময় কেটে গিয়েছে, রাজভবনের সামনে ঠায় বসে রয়েছেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মানুষের বঞ্চনার অভিযোগ রাজ্যপালের কাছে পৌঁছে দিয়ে তবেই তিনি উঠবেন ধরনা মঞ্চ ছেড়ে। এমনটাই পন করেছেন তিনি। এরই মধ্যে জানা গেল, কলকাতায় আসছেন সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি।

যে মন্ত্রীর (Sadhvi Niranjan) সঙ্গে সাক্ষাৎকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল দিল্লির কৃষি ভবন, প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল অভিষেকদের, সেই মন্ত্রীই এবার কলকাতায়! তাও আবার অভিষেকের ধরনার মাঝেই! মন্ত্রী আচমকা আগমনের কারণ সম্পর্কে বিজেপি কিছু খোলসা না করলেও রাজনৈতিক মহলের একাংশ প্রশ্ন তুলছে অভিষেক তথা তৃণমূলের চাপেই কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্ত নয়তো?

এদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আসার খবরে অভিষেক (Abhishek Banerjee) বলেন, ‘দিল্লিতে তো আমাদের গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দিলেন। সেই তো বাংলায় আসতে হল।’

কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি (Sadhvi Niranjan)শনিবার সকালেই দিল্লি থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। বিজেপি সূত্রে খবর, দুপুর ১ টা নাগাদ সল্টলেকে রাজ্য বিজেপির দফতরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে পারেন তিনি। ইতিমধ্যেই নাকি বালুরঘাট থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
গত মঙ্গলবারই সাধ্বীর সঙ্গে দেখা করতে কৃষি ভবনে গিয়েছিল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও সেই দলে ছিলেন মহুয়া মৈত্র, ডেরেক ও ব্রায়েন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো সাংসদরা। সন্ধ্যা থেকে অপেক্ষা করার পরও মন্ত্রী তাঁদের সঙ্গে দেখা করেননি বলে অভিযোগ ওঠে।

শুধু তাই নয়, বহিরাগতদের উপস্থিতির অভিযোগে আটক করা হয় অভিষেক সহ তৃণমূল নেতাদের। চ্যাংদোলা করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় মহুয়া মৈত্রকে। এই পরিস্থিতির পরই তৃণমূল একেবারে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেছিল সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। মন্ত্রী তাঁদের সঙ্গে দেখা না করে পালিয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ তোল তৃণমূল। এখানেই শেষ নয়, মন্ত্রী মিথ্যাবাদী বলেও আক্রমণ করতে থাকে রাজ্যের শাসক দল।

সেই ঘটনার পর ৫০ লক্ষ চিঠি নিয়ে কলকাতায় ফিরে আসে তৃণমূল, ডাক দেয় রাজভবন অভিযানের। এদিকে রাজ্যপাল রয়েছেন দিল্লিতে। তাই অভিষেক ঘোষণা করেছেন, রাজ্যপাল না ফেরা পর্যন্ত ধরনায় বসে থাকবেন তিনি, চিঠি পড়িয়ে তবেই ফিরবেন বাড়ি। এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উপস্থিতি যে তাৎপর্যপূর্ণ, তা বলাই যায়।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!