পুজো দেখুন হেরিটেজ ট্রামে
নিউজ ডেস্ক::পুজোর বাকি আর কয়েকদিন। মেঘ কেটে রোদের দেখা মিলেছে। এবার আর ঘরে থাকা দায়। পরের সপ্তাহ থেকেই শহরের বড় পুজোর মণ্ডপগুলি উদ্বোধন হয়ে যাবে। পুজো পুজো গন্ধ আকাশে বাতাসে। দুর্গাপুজো আগেই ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা পেয়েছে। এবার সেই দুর্গাপুজো দেখার সুযোগ মিলবে আরের ইউনেস্কো হেরিটেজ তকমা পাওয়া কলকাতার ট্রামে।
এবার কলকাতার ট্রামের ১৫০ বছর পূর্তি। সেকারণে একেবারে নতুন সাজে সেজে উঠেছে ট্রাম। পুরনো কলকাতার মতো ট্রাম এখন আর সেই পর্যায়ের গণপরিবহণ নেই ঠিকই কিন্তু ট্রামের ঐতিহ্য এখনও শহর কলকাতা জুড়ে রয়ে গিয়েছে। এসি ট্রাম এসেছে। তৈরি হয়েছে ট্রাম রেস্তোরাঁ। এবারে একেবারে অন্য ভাবে পাওয়া যাবে ট্রামকে। বিশেষ করে পুজোর কয়েকটা দিল।
কলকাতার ট্রাম কোম্পানি একটি ট্রামকে একেবারে নতুন ভাবে সাজিয়ে তুলেছে। যার নাম তারা দিয়েছে পুজো স্পেশাল ট্রাম। সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে সেই ট্রামের অন্দর। বাঙালির জনপ্রিয় আলপনা দিতে সাজানো হয়েছে ট্রােমর অন্দর মহল। তার সঙ্গে আলোক সজ্জাও চোখ ধাঁধানো। একেবারে পুজোর সঙ্গে মানান সই।
১৮৭৩ সালে কলকাতার রাস্তায় প্রথম নেমেছিল ট্রাম। সেই নস্টালজিয়াকে ফের জীবন্ত করে তুলতে এবারে দুর্গাপুজোয় পথে নামবে এই ট্রাম। টাগিগঞ্জ ট্রাম ডিপো থেকে বালিগঞ্জ পর্যন্ত চলবে ট্রামটি। পথে যেকটি বড় দুর্গাপুজো পড়বে সেগুলিতে থামবে। এবং যাত্রীরা ট্রামে করে সেই সব জায়গায় ঠাকুর দেখতে পারবেন।
ট্রামের ভেতরে কুমোর টুলির শিল্পীদের ঠাকুর তৈরি থেকে শুরু করে ধুনুচি নাচ, সিঁদুর খেলা বাংলার দুর্গাপুজোর সাবেকি ঐতিহ্যের সবটা তুলে ধরা হয়েছে। আল্পনা দিয়ে রাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে ট্রামের মেঝে। পুরোটা দেখতে মনে হবে চলন্ত কোনও মিউজিয়াম। যেখানে বাংলার শিল্পের ছোঁয়া রয়েছে। তবে শুধু দুর্গা পুজো নয় অক্টোবর মাস থেকে এই ট্রাম চলা শুরু হবে চলবে ইংরেজির বর্ষবরমের রাত পর্যন্ত। টালিগঞ্জ থেকে বালিগঞ্জ পর্যন্ত ছুটবে এই ট্রাম। তাহলে আর দেরি না করে এক্ষুনি টিকিট কেটে ফেলুন।