ন্যায়বিচার চাইতে দিল্লি গেলেন মৌসুমি – টুম্পারা
নিউজ ডেস্কঃ সর্বোচ্চ আদালতে বিচার চাইতে দিল্লি গেলেন কামদুনির প্রতিবাদীরা। কলকাতা হাইকোর্টের অভিযুক্তরা লঘু শাস্তি পেয়েছে। খালাস করে দেওয়া হয়েছে তিন জনকে। এবার ন্যায়বিচারের জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন মৌসুমি, টুম্পারা।রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কামদুনি কাণ্ডে প্রতিবাদীদের পাশে রয়েছেন। নির্যাতিতার পরিবার, মৌসুমি কয়াল, টুম্পা কয়ালদের সঙ্গে তার দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। সিআইডি ও পুলিশ সঠিকভাবে মামলা সাজায়নি। সেই কারণে কলকাতা হাইকোর্টে অভিযুক্তরা খালাস পেয়ে যায় ।এমন বক্তব্য শুভেন্দু অধিকারীর।
মৌসুমি, টুম্পাদের দিল্লি নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার বেলা ১০ টা ৪৫ মিনিটের বিমানে তারা দিল্লি গিয়েছেন। কামদুনি থেকে সাতজন দিল্লি উড়ে গেলেন বলে খবর। সুপ্রিম কোর্টের নামকরা ব্যারিস্টার, উকিলদের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা হবে। সুপ্রিম কোর্টে মৌসুমিরা আলাদা করে এই মামলার আবেদন করতে চান।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের তরফে সুপ্রিম কোর্টের আবেদন করা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সেই আবেদন মানেনি। তবে সব পক্ষকে বক্তব্য জানানোর কথা বলা হয়েছে। এই অবস্থায় কামদুনির প্রতিবাদীরা কোন পথে যাবেন? কীভাবে সুপ্রিম কোর্টে তাদের আবেদন করা যেতে পারে? সেই নিয়ে আলোচনা হবে।
রাজ্য সরকারের পুলিশ ও সিআইডির উপর কোনও রকম ভরসা রাখতে পারছে না কামদুনি। সঠিক বিচার কলকাতা হাইকোর্টে করা হয়নি রাজ্য সরকারের কারণেই। এই অভিযোগ উঠছে। শুধু তাই নয়, পুলিশ ও তদন্তকারীরা অভিযুক্তদের হয়ে তথ্য সাজিয়েছে। এই অভিযোগও তোলা হচ্ছে।
ফলে এবার নিজেরাই সুপ্রিম কোর্টে লড়তে চাইছে মৌসুমি, টুম্পারা। কিন্তু কতটা কঠিন হতে পারে এই পথ? রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের তরফ থেকেও সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হবেন তাদের পক্ষের আইনজীবী। কলকাতা হাইকোর্টে অভিযুক্তরা ছাড়া পেয়েছে। ফলে লড়াই যথেষ্ট কঠিন একথা মনে করছে।
দীর্ঘ ১০ বছর আগে কামদুনিতে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছিল। তদন্ত, আদালতে সাক্ষ্যপ্রমাণে কেটে গিয়েছে এতগুলো বছর। এবার সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলার সম্ভাবনা। কবে ন্যায়বিচার পাবেন মৃতা নির্যাতিতা? প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।