বিধায়ক মন্ত্রীদের ভাতা বৃদ্ধি বিলে সই করেন নি রাজ্যপাল – মূলতুবি বিধানসভা
নিউজ ডেস্ক::রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাত এবার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁচেছে। বিধায়কদের ভাতা সংক্রান্ত বিলটি এদিন পেশ করেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও মন্ত্রীদের ভাতা সংক্রান্ত বিলটি পেশ করেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু রাজ্যপালের সম্মতি না থাকায় সেই বিল নিয়ে আলোচনা হয়নি এদিন। সোমবার বেলা ১২ টায় শুরু হয় বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন। ১২ থেকে ১৩ মিনিট পরই সেই অধিবেশন মুলতুবি করার কথা ঘোষণা করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, প্রাক্তন বিধায়কের মৃত্যু হয়েছে বলেই অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হল। এদিন বিল পেশ করা হলেও, রাজ্যপালের সম্মতি না থাকায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়নি। বিজেপির দাবি, প্রাক্তন বিধায়কের মৃত্যুর বিষয়টা অজুহাত মাত্র। আসলে রাজ্যপালের স্বাক্ষর না হওয়াতেই বিধানসভা মুলতুবি হয়ে গেল। ঘটনা যাই হোক একদিনের বিধানসভা মূলতুবি হওয়ায় কোনো গঠনমূলক আলোচনাই হলো না।
বিধায়ক ও মন্ত্রীদের ভাতা বৃদ্ধির কথা আগেই জানিয়েছিলেন ম্যাখ্যমন্ত্রী। প্রয়োজন, সেই সংশোধনী আনার জন্যই সোমবার ডাকা হয়েছিল অধিবেশন। বিধায়কদের ভাতা সংক্রান্ত বিলটি এদিন পেশ করেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও মন্ত্রীদের ভাতা সংক্রান্ত বিলটি পেশ করেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
এরপরই স্পিকার বলেন, ‘প্রাক্তন বিধায়ক মারা গিয়েছেন। তাই সভা মূলতুবি করা হলো।’ প্রসঙ্গত স্মরণীয় ৩ অক্টোবর প্রয়াত হয়েছেন প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক দ্বিজেন্দ্র নাথ রায়। ১৯৮১ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত কুমারগঞ্জ বিধানসভার বিধায়ক ছিলেন তিনি। মাঝে ১৯৮৭ থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত বিধায়ক ছিলেন না। তাঁর মৃত্যুর জন্য বিধানসভা মুলতুবি হয়ে যায় এদিন। পরে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, বিলে পেশ করার পর আলোচনার জন্য রাজ্যপালের অনুমোদন লাগে।