টাকিতে শুরু হয়েছে বিসর্জন
নিউজ ডেস্কঃ চিরাচরিত রীতি মেনে টাকিতে ইছামতি নদীতে শুরু হয়ে গেছে বিসর্জন। এই দিন ইছামতিকে কেন্দ্র করে দুই বাংলার মহা মিলন ঘটে। টাকিতে রাজবাড়ি ঘাট, ঘোষবাবুর ঘাট, মুক্তবাবুর ঘাটেই মূলত বিসর্জন হয়। হাজার হাজার মানুষের ভিড় হয় এদিন। কড়া পুলিশি নিরাপত্তার সঙ্গে চলে বিএসএফের টহলদারি। নদীবক্ষে বিএসএফের স্পিড বোট দিয়ে তৈরি হয় অস্থায়ী বর্ডার। মূলত নদীর মাঝ বরাবর এগুলি থাকে। এদিনের জন্য দুই দেশের নদী-সীমান্ত এই স্পিড বোটই নির্দিষ্ট করে দেয়। বহু দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসেন এই বিসর্জন দেখতে। বোটের টিকিট পেতে গেলে আগাম তা কেটে রাখতে হয়। তবে নদীর ধারে দাঁড়িয়ে যে কেউ চাক্ষুষ করতেই পারেন এই নয়নাভিরাম দৃশ্য। এই বিসর্জন দেখার জন্য ইচ্ছামতির দুই পাড়ে লক্ষধিক মানুষের ভিড় হয়।
প্রশাসন সময় নির্দিষ্ট করেছে বেলা ১২ টা থেকে বিকেল ৫টা।
নিরঞ্জনে অংশ নিতে পুজো উদ্যোক্তাদের পুরসভা ও পুলিশের কাছ থেকে অনুমতিপত্র নিতে হয়। তা দেখিয়েই বোটে ওঠার সুযোগ মেলে। অন্যদিকে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে পুলিশ আর কাউন্সিল এই অনুমতি দেয়। যদিও বাংলাদেশের নৌকার সংখ্যা এবার তুলনামূলক অনেকটাই কম বলে জানা গিয়েছে। বরং ভারতের নৌকার সংখ্যা ৫০০ উপরে। এইদিন ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষি বাহিনী উন্মুক্ত করে দেয় সীমান্ত। ফলে দুই বাংলার মানুষের মধ্যে ব্যাপক আনন্দ উল্লাস থাকে।