বনদপ্তরের তৎপরতায় মোজার ভেতর থেকে তক্ষক পাচার ধরা পরে গেলো
নিউজ ডেস্কঃ বৈকন্ঠপুর জঙ্গলকে কেন্দ্র করে বেআইনি পশু, পাখি ও সরীসৃপ পাচার হচ্ছিলো অনেকদিন ধরেই। এবার হাতেনাতে ধরা পড়লো দুজন।
এবার মোজার ভিতরে বন্যপ্রাণী পাচারের ছক কষেছিল তারা। কিন্তু অভিযান চালিয়ে সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ করল বনদফতর। গ্রেফতার দুই পাচারকারী। একজন পলাতক। বনদফতরের হাতে উদ্ধার তিনটি তক্ষক। বন দফতর সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে তক্ষক পাচারের খবর আগেই ছিল বৈকুণ্ঠপুর ডিভিশনের আমবাড়ি ফালাকাট রেঞ্জ অফিসার আলমগীর হক ও তাঁর দলের কাছে। সেই মতো ক্রেতা সেজে পাচারকারীদের কাছে যান আলমগীর হক ও তাঁর দল। এরপর কথা অনুযায়ী, ৯ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তক্ষকগুলি বিক্রি করে সচেষ্ট হয় তাঁরা। নিখুঁত অভিনয় ধরতে পারে নি পাচারকারীরা।
প্রথমে দরদাম রফা হবার পরে আসল রূপ প্রকাশ করে অফিসারেরা। সেই সময় হাতেনাতে দুই পাচারকারীকে ধরে ফেলেন বনদফতরের অফিসার। তবে দু’জনকে পাকড়াও করা সম্ভব হলেও একজন এখনও পলাতক। ধৃত দু’জনের নাম শেখ আমিন ও এমএ শেখ। এদের মধ্যে শেখ আমিন কোচবিহারের বাসিন্দা। অন্যজনের বাড়ি জলপাইগুড়িতে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ওই তিনটি তক্ষক বাংলাদেশে এক জঙ্গল থেকে মালদহ হয়ে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকে নিয়ে আসা হচ্ছিল। এই তক্ষকের বাজার মূল্য প্রচুর।