কাঁথি থানায় জেরা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দুকে
নিউজ ডেস্কঃ ফের পুলিশি জেরার মুখে পড়লেন সৌমেন্দু অধিকারী। কাঁথি থানায় তাঁকে আগেই তলব করা হয়েছিল। দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে তাঁকে থানায় রাখা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে অমান্য করেছে কাঁথি থানা। এমনই অভিযোগ করলেন শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে অপ্রত্যাশিতভাবেই উঠেছিল চিটফান্ড প্রসঙ্গ। সারদা প্রসঙ্গ উঠে আসে কথায়। কাঁথি এলাকায় সারদার টাকার বিষয়ও চর্চায় আসে। তারপরেই নিতান্ত কাকতালীয়ভাবেই কাঁথি থানার পুলিশ সৌমেন্দু অধিকারীকে ডেকে পাঠায়। সারদা ফাইল লোপাট করা হয়েছে। এই অভিযোগ রয়েছে সৌমেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে।
এর আগেও তিন বার কাঁথি থানায় তাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, কোনওভাবেই দুই ঘণ্টার বেশি সময় তাকে জেরা করা যাবে না। সৌমেন্দু পুলিশকে সহযোগিতা করবেন। সেই নির্দেশও দেয় আদালত। দীর্ঘ আট মাস পর শুভেন্দুর ভাইকে ফের কাঁথি থানা ওই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল।
এদিন দুপুর ১২টা নাগাদ কাঁথি থানায় যেতে বলা হয়েছিল তাঁকে। সৌমেন্দু অধিকারী আগে কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। তৃণমূল থেকে দলবদল করে বিজেপিতে যান তিনি। এবার ভোটে তৃণমূল কাঁথি পুরসভা দখল করে। কাঁথি পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান সুবল কুমার মান্না।
কাঁথি পুরসভা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে নথি লোপাটের অভিযোগ আনা হয়। শুভেন্দু অধিকারী ও সৌমেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে সারদার ফাইল লোপাটের অভিযোগ সামনে আসে। পুরবোর্ডের চেয়ারম্যান সুবলকুমার মান্নার তরফ থেকে পুলিশের কাছে অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে নথি লোপাটের অভিযোগ করা হয়। যদিও সেইসব অভিযোগ আগেই তারা খারিজ করেছেন।
এদিন বৃহস্পতিবার প্রায় দুই ঘন্টারও বেশি সময় কাঁথি থানায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে সেখান থেকে বেরিয়ে কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌমেন্দু অধিকারী বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আদালতের নির্দেশকে উপেক্ষা করেছে কাঁথি থানার পুলিশ। দু’ঘণ্টারও বেশি সময় তাকে কাঁথি থানায় রাখা হয়েছে। বিষয়টি তিনি আদালতে জানাবেন।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই তাঁকে থানায় ডাকা হচ্ছে। এমনই মত সৌমেন্দুর।