“বেকারদের কাজ হলে শাসকদল ভোট লুঠ করতে পারবে না”: মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়
নিউজ ডেস্কঃ ইনসাফ যাত্রা চলছে উত্তরবঙ্গে। মিছিল একের পর এক জেলা পেরিয়ে আসবে। লক্ষ্য কলকাতা। ইনসাফ যাত্রার ডিওয়াইএফআই কর্মীদের সঙ্গেই পায়ে পা মেলাচ্ছেন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। বেকারদের চাকরির দাবি, রাজ্যকে দুর্নীতি মুক্ত করা সহ একাধিক ইস্যুতে ফের রাস্তায় মীনাক্ষীরা।
ডিওয়াইএফআই নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, রাজ্য ও দেশের সব থেকে বড় সমস্যা হল বেকার সমস্যা। কাজ থাকলে, সৎ পথে উপার্জন থাকবে৷ মানুষের হাতে অর্থ থাকবে। ছোটখাটো দোকানগুলোও বেঁচে থাকবে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ ও দেশে এগুলো হচ্ছে না। কারণ, রাজ্য ও কেন্দ্রের সরকার চাইছে না মানুষের কাজ হোক।
দুই মাস ধরে চলবে ইনসাফ যাত্রা। কোচবিহার থেকে এই যাত্রার শুরু হয়েছে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারের পর জলপাইগুড়ি যায় এই যাত্রা। এবার দার্জিলিংয়ের উদ্দেশ্যে এই যাত্রা রওনা হল৷ আগামী ৭ জানুয়ারি কলকাতার ব্রিগেডে সমাবেশ। এই মিছিল পায়ে পায়ে কলকাতার রাজপথে এসে পৌঁছাবে।
রাজ্যের তৃণমূল সরকার কর্মসংস্থানের দিকে জোর দিচ্ছে না। নজর অন্যদিকে ঘুরিয়ে রেখেছে। কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারও একইভাবে এই কাজ করে চলেছে। বেকার তৈরি করা কেন্দ্র ও রাজ্যের সরকারের অন্যতম লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। বরাবর এই কথা বামেরা দাবি করে আসছে। সেই কথাই আরও একবার ইনসাফ যাত্রার মাধ্যমে বোঝাতে চাইছেন ডিওয়াইএফআই নেতৃত্ব।
মীনাক্ষীর কথায়, বেকার যুবক যুবতীদের হাতে কাজ দিলে ভোটলুঠেরা পাওয়া যাবে না। অগণতান্ত্রিক, স্বৈরাচারী ব্যবস্থাকে কায়েম রাখতে চায় রাজ্য ও কেন্দ্রের দুই সরকার। সেই কারণে প্রথম আঘাত হানা হয়েছে শিক্ষার ওপর। দ্বিতীয় আঘাত কাজের অধিকারের ওপরে। তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধেই চলছে আন্দোলন।
মীনাক্ষী আরও বলেন, সরকার না ইনসাফি করেছে বেকারদের সঙ্গে। সেজন্য বেকার যুবক – যুবতীদের চাকরির দাবিতে এই ৬০ দিনের ইনসাফ যাত্রা। সিপিএম নেতৃত্ব এই ইনসাফ যাত্রার উপর যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন। কারণ, সামনেই লোকসভা ভোট। সিপিএম শিবিরেও নতুন মুখ প্রয়োজন।