মন্ত্রী অখিল গিরি ও ছেলে সুপ্রকাশ গিরিকে এবার আয়কর নোটিশ
নিউজ ডেস্কঃ রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি ও তার পুত্র সুপ্রকাশ গিরি আয়করের নোটিশ পেলেন। মঙ্গলবার দুপুরে এই তথ্য সামনে এসেছে। নির্দিষ্ট দিনে তাদের দুজনকে আয়কর অফিসে দেখা করতে বলা হয়েছে। এমন খবর পাওয়া যাচ্ছে। গতকাল সোমবার রাজ্যপাল সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্যের ভিডিও পাওয়া গিয়েছিল। মন্ত্রী অখিল গিরি এই মন্তব্য করেছিলেন। তার প্রেক্ষিতে এই আয়কর নোটিশ? প্রশ্ন উঠছে।
ইতিমধ্যেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই নোটিশ সম্পর্কে চর্চা শুরু হয়েছে। রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরির নামে আয়কর নোটিশ এসেছে। যদিও মন্ত্রী এই বিষয় নিয়ে কোনও কথা বলেননি। বলে রাখা ভালো, শুভেন্দু অধিকারী মারফত গতকাল তার ওই ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। ফের নিন্দার ঝড় ওঠে রাজ্য রাজনীতিতে। তারপর থেকেই অখিল গিরি যোগাযোগ করছেন না কারও সঙ্গে। এমনই খবর।
আয়কর দফতরের চিঠি কি বাড়িতে এসেছে? এই প্রশ্ন উঠেছে। এই খবর লেখা পর্যন্ত সেই তথ্য পাওয়া যায়নি। ইমেইল মারফত তাদের কাছে চিঠি এসেছে। এ কথা জানা গিয়েছে। সুপ্রকাশ গিরি নিজেই জানিয়েছেন এই চিঠির কথা। ইমেইল মারফত তিনি আয়কর দফতরের নোটিশ পেয়েছেন। রাজনৈতিক স্বার্থে এই নোটিশ কী না, তাই নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। বিজেপির মাধ্যমে প্রতিহিংসার রাজনীতি তাদের উপরে দেখানো হচ্ছে কি? এই আন্দাজ করছে একাংশ।
আয়কর দফতরের চিঠি যেন কোন প্রতিহিংসামূলক ঘটনার জন্য না হয়। এ কথা বলছেন কারামন্ত্রীর ছেলে সুপ্রকাশ গিরি। পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে? সে সম্পর্কে তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। এদিকে অখিল গিরির বক্তব্যের পরে রাজ্যের রাজনীতিতে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। মন্ত্রীর পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া উচিত। এমনই বক্তব্য উঠছে বিরোধীদের পক্ষ থেকে।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মূ সম্পর্কে একসময় কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন অখিল গিরি। সেই মন্তব্যের জেরে প্রচুর সমস্যায় পড়তে হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসকে। তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন। কারামন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে হয়েছিল। কিন্তু কুরুচিকর মন্তব্যে তিনি যে একই রকম জায়গায় দাঁড়িয়ে। আরও একবার তার নজিত তিনি দেখালেন।
রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন তিনি। রাজ্যে সাংবিধানিক প্রধানকে কোনও মন্ত্রী কি অপমান করতে পারেন? এই প্রশ্ন উঠেছে। তৃণমূলও এই ঘটনায় যথেষ্ট বিব্রত বলে খবর। বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় অখিল গিরির বক্তব্যকে কোনওভাবেই সমর্থন করেন না। সংবিধান এই বিষয়য়ে মান্যতা দেয় না। এই ধরনের বক্তব্য কখনওই কোনও জনপ্রতিনিধি থেকে পাওয়া উচিত নয়। এমনই বলেছেন স্পিকার।
তাহলে কি কারামন্ত্রীর এবার শাস্তি হবে? তাকে কি মন্ত্রীর পথ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।