জাতীয় শিক্ষা দিবস – বিশেষ তাৎপর্য

0 0
Read Time:3 Minute, 9 Second

নিউজ ডেস্কঃ আজ ১১ নভেম্বর ভারতে পালিত হচ্ছে ‘জাতীয় শিক্ষা দিবস’। আমরা জানি স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষা মন্ত্রী মৌলানা আবুল কামাল আজাদের জন্মদিনকে স্মরণে রেখেই শিক্ষা দিবস পালন করা হয়। তিনি ছিলেন একজন ভারতীয় স্বাধীনতা কর্মী, ইসলামী ধর্মতাত্ত্বিক, লেখক এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের একজন প্রবীণ ও বুদ্ধিদীপ্ত নেতা।

মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি সর্বদা মেয়েদের শিক্ষা এবং ১৪ বছরের কমবয়সী সকল শিশুর জন্য বিনামূল্যে বাধ্যতামূলক শিক্ষার উপর জোর দেন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত দূরদর্শী মানুষ। তাই তিনি প্রথম থেকেই ভারতে পুঁথিগত শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষার উপর জোর দিয়েছিলেন।
তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন যে একটি দেশের শিক্ষাব্যবস্থা যথেষ্ট শক্তিশালী হলে দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতা থাকবে না তাই তিনি সর্বদা শিক্ষা সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দিয়ে মানুষকে উৎসাহিত করেছেন। শিক্ষাব্যবস্থাকে যতটা শক্তিশালী গড়ে তোলা যায়, এর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। দেশের শিক্ষার বিকাশ ছাড়া তাঁর ভাবনায় অন্য কিছু ছিল না।

ভারতীয় শিক্ষার বিকাশে তাঁর অবদান প্রচুর। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি), অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন (এআইসিটিই), জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া এবং আইআইটি খড়গপুর সেকেন্ডারি স্কুল বোর্ডের মতো খ্যাতিসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানগুলি তাঁর আমলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তিনি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস (আইসিসিআর), সাহিত্য একাডেমি, ললিতকলা একাডেমি, সঙ্গীত নাটক একাডেমি এবং বৈজ্ঞানিক ও শিল্প গবেষণা কাউন্সিল প্রতিষ্ঠায় অনস্বীকার্য অবদান রেখেছিলেন। শিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রের ভিত্তি তিনি তাঁর সময় প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। সেইসব প্রতিষ্ঠান এখন বিশাল মহিরুহে পরিণত হয়েছে। তাই ১১ নভেম্বর ভারতের সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে মৌলানা আবুল কালাম আজাদকে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!