“বালু-বাকিবুরদের স্রষ্টা মমতাই! শ্মশানের দায়িত্ব দিলে কঙ্কাল বিক্রি করে খাবে”: অধীর চৌধুরী
নিউজ ডেস্কঃআজকের বালু-বাকিবুরদের স্রষ্ঠা হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বহরমপুরে এমনটাই মন্তব্য করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে দৃষ্টাম্তমূলক সাজার দাবি করেছেন। এখন পিজি হাসপাতালকে চোরেদের হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
এদিন আলিপুর কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে জ্যোতিপ্রিয়র আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি মারা যাবেন। এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে অধীর চৌধুরী বলেন, এটা তো আজকে বাঁচার একমাত্র রাস্তা। এখন এসএসকেএম হয়ে গিয়েছে চোরেদের নিরাপদ আশ্রয়। সেই নিরাপদ আশ্রয় গিয়ে আদালতের হাত থেকে বাঁচবার জন্য এটি একটি প্রচেষ্টা। গোটা সরকার এ প্রচেষ্টার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করেন তিনি।
অধীর চৌধুরী বলেন, পশ্চিমবঙ্গে এখন অপরাধীদের বাঁচানোর জন্য সবথেকে বড় হাসপাতাল এসএসকেএম। আমরা যাকে পিজি হাসপাতাল বলি, সেটা এখন চোরেদের হাসপাতালে রুপান্তরিত হয়েছে। এদেরকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন অধীর চৌধুরী।
রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে বাকিবুরের নাম আরও জোরালো, এই প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী বলেন, বালুকে আমার হাতে ছেড়ে দিন। তিন মিনিট লাগবে এইসব স্বীকারোক্তি আদায় করতে। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, চোরের মায়ের বড় গলা। এরা সাধারণ মানুষের রেশন যারা মেরে খায়। কৃষকের ধান মেরে খায় শিশুদের খাবার মেরে খায়। তাদের জন্য এগুলো আরো বেশি হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।
তিনি প্রশ্ন করেন, বালু বা বাকিবুরের মতো আজ যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের স্রষ্টা কে? তিনি নিজেই বলেন, তাদের স্রষ্টা হল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, শুধু রেশন কাণ্ডেই থেমে থাকেনি দিদি, কোথাও কোথাও অতিরিক্ত চুরি করে ফেলেছেন। তাই রেশন থেকে তাঁকে জঙ্গলে পাঠানো হলো, তখন তিনি সমস্ত জঙ্গলকে বিক্রি করে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।
অধীর চৌধুরী বলেন, বালুকে যদি বলা হয় তাঁকে শ্মশান ঘাটে দায়িত্ব দেয়া হবে, তাহলে কঙ্কাল বিক্রি করে খেয়ে নেবে। আজকে তৃণমূলের এমনই সব নেতা উত্তরবঙ্গের সমস্ত কিছু বিক্রি করে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। এঁদের সাজা অতি জরুরি বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এই সাজা যেন দৃষ্টান্তমূলক হয়, সেই দাবি করেছেন অধীর চৌধুরী।
সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে মাটির নিচের জলস্তর দিনের পর দিন কমে যাওয়ার জন্য তৃণমূল নেতাদের দায়ী করেছেন অধীর চৌধুরী। তিনি অভিযোগ করেছেন, সরকারি মদতে তৃণমূলের নেতাদের মদতে সাব মার্সিবল পাম্প বসানো হয়েছে।