উৎসব আবহে একেবারে ভিন্ন রূপে ধরা দিলেন জেলার জেলাশাসক
নিউজ ডেস্কঃ দীপাবলির উৎসব চলছে। একেবারে ভিন্নরূপে ধরা দিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলা শাসক। একদিকে ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার শিশু দিবস। অন্যদিকে এদিন প্রতিপদ পেরিয়ে দ্বিতীয়া তিথি পড়েছে। তাই মঙ্গলবার বিকেল থেকেই ভাই ফোঁটার উৎসবে মেতে উঠেছে বাঙালি। আর এই উৎসব আবহে একেবারে ভিন্নরূপে জেলাশাসক তানভীর আফজাল। তিনি এদিন থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুদের মঙ্গল কামনায় তাদের ফোঁটা দিলেন। তমলুক ভলেন্টারি ব্লাড ডোনার্স অ্যাসোসিয়েশনের একটি অনুষ্ঠানে এই ছবি উঠে এল।
কথায় আছে উৎসব সবার। তবুও উৎসবের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয় অনেকেই। রক্তে মারন অসুখ থ্যালাসেমিয়া। তাই থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তদের কাছে উৎসব যেন কিছুটা ফিকে। কিন্তু তারাই বা উৎসবের আনন্দ থেকে বাদ পড়বে কেন! তাই তমলুক ভলেন্টারি ব্লাড ডোনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এই শিশু দিবস আয়োজন করা হয়। যেখানে দুরারোগ্য ব্যাধি থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুদের আনন্দ দেওয়াই মূল উদ্দেশ্য ছিল। তাই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা শিশুদের জন্য ভাইফোঁটার আয়োজন করেন। থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুদের ফোঁটা দিয়ে মঙ্গল কামনা করলেন জেলাশাসক।
জেলা শাসক শিশুদের প্রথমে মঙ্গল কামনায় ফোঁটা দেন। তারপর শিশুদের সঙ্গে কেক কেটে শিশু দিবস উদযাপন করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক বলেন, থ্যালাসেমিয়া একটি দুরারোগ্য ব্যাধি। এই রোগ রোগের একমাত্র চিকিৎসা ব্লাড ট্রান্সমিউশন। অর্থাৎ রোগীকে নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর রক্ত দেওয়া। তার জন্য প্রয়োজন রক্ত। তাই তিনি এই উৎসব আবহে বিভিন্ন ক্লাব বা সংগঠনদেরকে রক্তদান কর্মসূচি রাখার আহ্বান জানান। রক্তদানের একটি নির্দিষ্ট ক্যালেন্ডার তৈরি করে ক্লাব বা সংগঠনগুলি রক্তদান শিবির আয়োজন করে তাহলে জেলায় বিভিন্ন সময়ে রক্তের যোগান স্বাভাবিক থাকবে বলে অভিমত প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানের আয়োজকদের কথায়, থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তরা সমাজের মূল স্রোত থেকে যাতে বিচ্যুত না হয়ে পড়ে তাই এই ধরনের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি সমাজকে রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করতে এবং থ্যালাসেমিয়া সম্পর্কে সচেতন করার উদ্দেশ্যে এই কর্মসূচি। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত থেকে জেলাশাসক থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুদের মঙ্গল কামনায় ফোঁটা দেওয়া ও শিশুদের সঙ্গে সময় কাটানোয় খুশি তমলুক ভলেন্টারি ব্লাড ডোনার এসোসিয়েসনের সদস্যরা।