সীমান্তে উন্নয়ন কোথায়?
নিউজ ডেস্কঃ সীমান্তে বেহাল সেতু দিয়ে ঝুঁকির যাতায়াত, প্রশাসন আশ্বাস দিলেও সেতু সংস্কার হয়নি, বাশের সাঁকো থেকে পড়ে ইছামতি নদীতে সাইকেলেঁ আরোহী কোন রকম ভাবে প্রাণে রক্ষা পেলেনউত্তর ২৪ পরগনা জেলার, বসিরহাটের স্বরূপনগর ব্লকের গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ইছামতি নদীর গোপালপুর ও তরনিপুর ব্রিজ, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী গ্রাম কাঠের সেতুর বেহাল অবস্থা হওয়ায় চরম সমস্যায় পড়েছেন বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সাধারণ মানুষ। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে গ্রামের ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে যাতায়াত করে প্রতিদিন এই সেতু পেরিয়েই। হেঁটে গেলও সেতুটা নড়তে থাকে। আর সাইকেল কিংবা বাইকে চেপে গেলে তো ভয়ে প্রাণ ওষ্ঠাগত।
সেতুর মাঝ থেকে খসে পড়েছে কাঠের অংশ, আবার কোনো কোনো অংশে ব্যারিকেড ভেঙে জলে মিশে গিয়েছে। স্থানীয়রা বিপদের মধ্যে পড়লেও তারা বাধ্য হয়ে বলেন এই পথ ছাড়া আর অন্য রাস্তাই বা কোথায়? তাই বাধ্য হয়ে প্রাণ হাতে করে এক প্রকার কাঠের সেতু দিয়ে চলে যাতায়াত। ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত এই সেতু দিয়ে গ্রামবাসীদের প্রতিদিন বসিরহাট থেকে বনগাঁ দুটি প্রধান শহরে যাওয়ার অন্যতম মাধ্যম এই সেতু। কিন্তু কাঠের সেতুর বেহাল অবস্থা নিয়ে বেজায় চটেছেন এলাকাবাসী। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী আশ্বাস দিয়েছিলেন ২৩ কোটি টাকা টাকা বরাদ্দ হয়ে গেছে খুব দ্রুত কাজ শুরু হবে”ঘটনাটি জানতে পেরে পঞ্চায়েতের তরফে আমরা সেতুটি কিছুটা সংস্কার করেছি। খুব শীঘ্রই সেতুটি সম্পূর্ণ সংস্কার করা হবে।” তবে দীর্ঘদিনের এই সমস্যার অবসান কবে ঘটবে? কবে ভাঙবে স্থানীয় প্রশাসনের এই ঘুম? সেদিকেই তাকিয়ে সীমান্তবর্তী এলাকার সাধারণ মানুষ।