হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু অধিকারী
নিউজ ডেস্কঃ ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একের পর এক কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে রাজ্যের পুলিশ। শুভেন্দু অধিকারীর কাজকর্মে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এমনই অভিযোগ করছেন বিজেপির বিধায়ক। একাধিক বিষয়কে সামনে রেখে আরও একবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু।দৈনন্দিন নানা কাজকর্মে বাধা দিচ্ছে পুলিশ। এই অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই তুলছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বাঁকুড়াতে তার বিজয়া সম্মেলনীর অনুষ্ঠানও আটকে দেওয়া হয়েছিল৷ সেজন্য কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হতে হয়। আরও একটি কর্মসূচিকেও অনুমতি দিচ্ছে না জেলা পুলিশ।কলকাতার হাইকোর্টে শুক্রবার মামলা দায়ের করতে আসেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের নাম বদল হয়ে মমতা পুলিশ হয়েছে। স্বাভাবিক কাজে আড়াই বছর ধরে বাধা দিয়েছে এই সরকার। আমার সংসদীয় কাজকর্ম ব্যাহত হয়েছে। আমাকে কর্মসূচি করতে দেওয়া হয় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের পুলিশকে অধঃপতনে নামিয়েছেন।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “নেতাই-সহ কয়েকটি জায়গায় হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল। তারপরেও বাধা দেয় পুলিশ। বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক এবং রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যাতে যেতে না পারি, সেই চেষ্টা করা হয়। কলকাতার মোড়ে মোড়ে সিগন্যালে এক ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। ২৯ হাজার টাকা ট্রাফিক ফাইন দিয়েছি।” এই সব বিষয় নিয়েই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।বাঁকুড়া জেলার কোতুলপুরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভা হওয়ার কথা ছিল। এদিন জানা গিয়েছে, জেলার প্রশাসনিক অনুমতি পাওয়া যায়নি। তাই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোড়। জেলার বিজেপি নেতারা রীতিমতো ক্ষুব্ধ এই ঘটনায়। শুভেন্দুও বিরক্ত বলে জানা গিয়েছে।
সাংবাদিকরা এই বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। বিজেপি সাংসদ বলেন, “তৃণমূলের লোকেরা ভুল বার্তা দিয়ে সভা ভণ্ডুল করতে চাইছে। দল এই বিষয়ে কোর্টে যাবে।” একই সঙ্গে আগামী দিনে ওই কোতুলপুরেই শুভেন্দু অধিকারী সভা করবেন বলে তিনি জানান। যদিও এই বিষয় নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস কোনও কথা বলতে রাজি নয়। প্রশাসনিক বিষয় বলে মন্তব্য তাদের।