বিশ্বকাপ ফাইনালে রয়েছে কাদের সেঞ্চুরি?
নিউজ ডেস্কঃ ট্রাভিস হেডই ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নভঙ্গ করলেন! আমেদাবাদের পারফরম্যান্স দেখে সে কথা বলাই যায়। রোহিত শর্মার ক্যাচ অনবদ্যভাবে তালুবন্দি করেছিলেন।
তারপর ভারতের পেসাররা যখন আগুন ঝরিয়ে তিন উইকেট তুলে নিয়ে চাপে ফেলেছিলেন অজিদের, সেই চাপ কাটিয়ে অজিদের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ জয়ের দিকে নিয়ে গেলেন ওপেনার ট্রাভিস হেড। বিশ্বকাপ ফাইনালে সেঞ্চুরি করলেন ৯৫ বলেই।
ফিটনেসজনিত কারণে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বিশ্বকাপের প্রথমদিকের ম্যাচগুলিতে খেলতে পারেননি। এমনকী তিনি আদৌ বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন কিনা তা নিয়েও দেখা দিয়েছিল সংশয়। অবশেষে তিনি এলেন, দেখলেন এবং জয় করলেন। ধরমশালায় নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৫৯ বলে শতরান পূর্ণ করেন। খেলেছিলেন ১০৯ রানের ইনিংস।
ইংল্যান্ড ম্যাচে ১১, আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে শূন্য ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ১০ রানে আউট হন। যদিও ইডেনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে তিনি খেলেন গুরুত্বপূর্ণ ৬২ রানের ইনিংস। বল হাতে ২টি উইকেটও নেন। তারপর ফাইনালে ম্যাচ জেতানো শতরান। হেডের কেরিয়ারে এটি পঞ্চম ওডিআই শতরান। ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম।
এর আগে, ২০২২ সালে মেলবোর্নে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৫২ রান করেন, যা তাঁর কেরিয়ারে সর্বাধিক। ২০১৭ সালে অ্যাডিলেডে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে করেছিলেন ১২৮। ২০২২ সালে লাহোরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধেই করেন ১০১। এরপর চলতি বিশ্বকাপে ধরমশালায় নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১০৯ এবং ফাইনালের শতরান।
বিশ্বের সপ্তম ব্যাটার হিসেবে তিনি বিশ্বকাপ ফাইনালে শতরান হাঁকালেন। এই এলিট লিস্টে বাড়ল অজি আধিপত্য। ১৯৭৫ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েড ১০২ রান করেছিলেন।
১৯৭৯ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে অপরাজিত ১৩৮ রানের ইনিংস খেলেন ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ভিভিয়ান রিচার্ডস। ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে শতরান করেন শ্রীলঙ্কার অরবিন্দ ডি সিলভা। ২০০৩ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে অপরাজিত ১৪০ রান করেন রিকি পন্টিং। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট করেন ১৪৯।