ব্রাজিলকে হারাল আর্জেন্টিনা
নিউ ডেস্কঃ সংঘাতের আবহেই শুরু হয়েছিল ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচ। ম্যাচ জুড়েও পড়ল তাঁর প্রভাব, ৯০ মিনিট শেষে ব্রাজিলকে চূর্ণ করেই মাঠ ছাড়লেন মেসিরা। এক কথায় এটাই ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচের মির্যাস। বুধবার সাতসকালে মারাকানা স্টেডিয়ামে ২০২৬ সালের বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল দক্ষিণ আমেরিকার দুই দেশ। ১-০ গোলে চির প্রতিপক্ষকে হারাল আর্জেন্টিনা।
ব্রাজিল-আর্জেন্টিনান ম্যাচ মানেই উত্তেজনার পারদ থাকে তুঙ্গে। ব্রাজিলের দুর্গ বলেই পরিচিত মারাকানা স্টেডিয়ামে এই ম্যাচ শুরুর আগেই অশান্তি শুরু হয়। জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময় গ্যালারিতে শুরু হয় তীব্র অশান্তি। আর্জেন্টাইন সমর্থকদের উপর পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। পরিস্থিতি ক্রমেই অশান্ত হয়ে উঠে। এমনকি সমর্থকদের সঙ্গে এমন আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে মাঠ ছাড়েন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
এই অশান্তির জন্য খেলা নির্ধারিত সময়ে শুরু হয়নি। গ্যালারির অশান্তির আঁচ এসে পড়ে খেলাতেও। ম্যাচের শুরু থেকেই মাঠে দুই দলের ফুটবলারদের মেজাজের রাশ নিয়ন্ত্রণে ছিল না। ফাউল ও কার্ডের ছড়াছড়ি ছিল শুরু থেকেই। ফাউল ও কার্ড দেখায় যেমন ব্রাজিল এগিয়ে ছিল, তেমনি মাঠে বল পায়েও আধিপত্য ছিল ব্রাজিলেরই।
প্রথম ১৮ মিনিটে ৮টি ফাউল করেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারা। এৱই মধ্যে দুইদলই প্রথমার্ধে বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করে। ৩৩ মিনিটে দি পল সুযোগ নষ্ট করেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হয়ে। ৩৮ মিনিটে বক্সের কাছাকাছি জায়গায় ফ্রি কিক পায় ব্রাজিল। রাফিনিয়ার শট কর্নারের বিনিময়ে রুখে দেন মার্তিনেজ। গোলশূন্য অবস্থায় শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা। প্রথমার্ধে সব মিলিয়ে ২২টি ফাউল করে দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই দুই দলই গোলমুখ খোলাতে সচেষ্ট হয়। কিন্তু ৬৩ মিনিটে ম্যাচের ভাগ্য বদলে দিলেন নিকোলাস ওটামেন্ডি। সেলসোর কর্ণার থেকে হেডে ব্রাজিলের জালে বল জড়িয়ে দেন আর্জেন্টাইন এই ফুটবলার। একটা গোলেই ম্যাচের রঙ বদলে গেল। গোটা ম্যাচে খুব একটা নজর কাড়তে পারলেন না মেসি। ৭৮ মিনিটে নিষ্প্রভ এলএমটেনকে তুলে নিয়ে দি মারিয়াকে নামান আর্জেন্টিনা কোচ।
তবে ৮১ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন ব্রাজিলের জোলিংটন। ১০ জনে হয়ে যাওয়া ব্রাজিলের বিরুদ্ধে গোলসংখ্যা বাড়াতে পারেনি আর্জেন্টিনা। ১-০ গোলে জিতেই প্রতিপক্ষের ডেরা থেকে মাথা উঁচু করে মাঠ ছাড়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়রা। বাছাই পর্বে টানা তৃতীয় ম্যাচে হারের স্বাদ পেতে হল ব্রাজিলকে। ম্যাচে শেষে সমর্থকদের সঙ্গেই জয়ের আনন্দ ভাগ করে নেন মেসিরা।