গুরুনানক জয়ন্তী – একটি প্রতিবেদন
নিউজ ডেস্কঃ- ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে শিখ ধর্মের প্রবর্তক গুরু নানকের জন্ম জয়ন্তী পালন করা হচ্ছে আজ। গুরু নানকের জন্মদিন উদযাপনের জন্য পালন করা হয় গুরু নানক জয়ন্তী। গুরু নানক জয়ন্তী গুরুপরব নামেও পরিচিত। ১৪৬৯ সালে গুরু নানক দেব জন্মগ্রহণ করেন পাকিস্তানের, তালওয়ান্ডি নানকন সাহিব-এ। তাঁর পিতা কালুরাম মেহতা জী খাতরি এবং তাঁর মাতা তৃপ্তা দেবী। এবছর তাঁর ৫৫৪তম জন্মজয়ন্তী। আজকের দিনটি সমস্ত বিশ্বের শান্তি প্ৰিয় মানুষের কাছে খুবই পবিত্র দিন। কারণ গুরু নানক ছিলেন একজন শান্তির বার্তাবাহক।
তাঁর জীবনে আছে অনেক আলোকিক ঘটনা। তিনি ভারতে এসে সকলকে শান্তির বার্তা দিয়েছিলেন এবং তিনি নিজের জীবন সমর্পন করেছিলেন সাম্যতা এবং সহনশীলতার উদ্দেশ্যে। তিনিই সর্বপ্রথম শিখ ধর্মের সূচনা করেছিলেন। ভারতের বিভিন্ন ধর্মীয় স্থান ঘুরে তিনি বেশ কিছু বন্দনা লিখেছিলেন, যা পরবর্তীতে শিখ ধর্মগ্রন্থ আদি গ্রন্থে যোগ করা হয়েছে। কার্তিক মাসের পূর্ণিমাতে গুরু নানক জন্ম জয়ন্তী পালন করা হয়, যা সাধারণত অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাসের মধ্যে পরে।
গুরু নানকের প্রধান ৫টি বাণী আজকের দিনে খুবই প্রাসঙ্গিক। সেই ৫টি বাণী হলো –
- ঈশ্বর তোমাকে যে ধনসম্পত্তি দিয়েছেন, তা যদি তুমি শুধু নিজের বলেই আগলে রাখো, তা হলে তা একটি শবের চেয়েও পূতিগন্ধময়। কিন্তু যদি তা অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নাও, তা হলে তা পবিত্র প্রসাদের চেয়েও বেশি পুণ্য বলে ধরা হবে।
- সর্বোত্তম আরাম এবং দীর্ঘস্থায়ী শান্তি পাওয়া যায় যখন কেউ ভেতর থেকে স্বার্থপরতা দূর করে।
- ঈশ্বর একজনই, আর তাঁর নাম সত্য। তিনিই জগতের সৃষ্টিকর্তা। তিনি কাউকে ভয় পান না, কাউকে ঘৃণা করেন না। তিনি জাগতিক জন্ম-মৃত্যুর ঊর্ধ্বে। তিনি স্বীয় দীপ্তিতে আলোকিত হন। একমাত্র প্রকৃত গুরুই তোমাকে তাঁর সন্ধান দিতে পারবেন।
- জাগতিক প্রেম পুড়িয়ে দাও, ছাই ঘষে কালি কর, হৃদয়কে কলম, বুদ্ধিকে লেখক কর। লিখো যার কোনও শেষ বা সীমা নেই।
- যদি মৃত্যুর প্রকৃত অর্থ সত্যিই কেউ জানতে পারে, তা হলে সে আর মৃত্যুকে ভয় পাবে না।