“বুদ্ধবাবুর উদারতার সুযোগে টাটাকে তাড়িয়েছেন মমতা” – শুভেন্দু
নিউজ দেস্কঃ ২৯ তারিখ কোলকাতায় মেগা মিটিং বিজেপির। সর্বত্র চলেছে প্রচারাভিযান। সোমবার রাতে সেই প্রচারাভিযানের অংশ হিসাবেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মিটিং করলেন সিঙ্গুরে। অনেক রাত হয়ে গেলেও শুভেন্দুর ভাষণ শোনার জন্য প্রচুর মানুষের ভিড় ছিল। সেই সভায় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, সিঙুর আন্দোলনে সাধারণ মানুষের সমর্থন ছিল না, এখনও নেই। বুদ্ধবাবুর উদারতার সুযোগ নিয়ে সিঙুর থেকে টাটাদের তাড়িয়েছেন মমতা।’ এখন সারা বাংলা জুড়ে চলেছে বিজেপির ”কোলকাতা চলো” কর্মসূচি। সিঙ্গুরে শুভেন্দু বলেন, একজনের ইগো স্যাটিসফাই করতে গিয়ে সব হারিয়েছেন সিঙুরের বেকাররা। ব্যাপক করতালি দিয়ে শ্রোতারা স্বাগত জানায় শুভেন্দুকে।
সোমবার বিরোধী দলনেতা বোঝান যে সিঙ্গুর আর নন্দীগ্রামের আন্দোলন সম্পূর্ণ ভিন্ন। তিনি বলেন, ২০০৬ সালে সিঙুরে অধিকাংশ মানুষ চেক নিয়ে নিয়েছিল। সামান্য কয়েকজন বর্গাদারকে নিয়ে এখানে শিল্প বিরোধিতা করতে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিঙুর আর নন্দীগ্রামের লড়াই এক লড়াই নয়। সিঙুরের লড়াইতে সাধারণ মানুষের সমর্থন ছিল না। মাননীয় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বোকামির জন্য এই ধরণের ফ্রাঙ্কেনস্টাইন মমতা ব্যানার্জি আজকে সিঙুরটাকে শ্মশানে পরিণত করে দিয়েছেন। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের উদারতা ও এই রাজ্যের রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর ভদ্রতার সুযোগ নিয়ে এই রাজ্যের নেত্রী বটে, শিল্প ভাগান গুজরাতে’। ঘটনাচক্রে সেই সময় মমতার প্রায় ছায়াসঙ্গী ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি কেন তখন আপত্তি তোলেন নি? নিজেই এই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে বলেন, “আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন, আপনি তখন সেই দলে ছিলেন, প্রতিবাদ করেননি কেন? আমি বলি, প্রতিবাদের সুযোগ ছিল না। আপনারা দেখেছেন, ধর্মতলায় চকোলেট স্যান্ডউইচ খাওয়া অনশনে একমাত্র তৃণমূলের বিধায়ক যে যায়নি তার নাম হল শুভেন্দু অধিকারী। ৩০ জনের মধ্যে ১ জন। আমি অকথিত তথ্য আজকে প্রকাশ করছি। আট সালে পঞ্চায়েতের পরে ছাঁদা বেঁধেছিল। প্রতিদিন ডাকত আমাকে। তখন আমি নন্দীগ্রামের হিরো ছিলাম। আমি একদিনও আসিনি। বাধ্য হয়ে একদিন এসেছিলাম। ২০ মিনিট বলেছিলাম। যাওয়ার সময় ওর ছওনির ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ডেকরেটরের বিলটা মিটিয়ে আমি বাড়ি চলে গেছিলাম।”