সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন
নিউজ ডেস্ক : করোনা অতিমারির সময় ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড গোটা পশ্চিমবঙ্গকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। তার অন্যতম অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেব এখনও জেল হেফাজতে রয়েছেন। এবার তিনি নিজের প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন। শুধু তাই নয়, আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। একাধিক বক্তব্য আদালতের সামনে পেশ করা হয়েছে।
অবিলম্বে সেই তদন্তের ভার সিবিআইকে দেওয়া হোক। এমনই আর্জি জানিয়েছেন দেবাঞ্জন দেব। করোনা অতিমারির সময়ে ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড সামনে এসেছিল। এই ব্যক্তি নিজের প্রচেষ্টায় ও উদ্যোগে ভ্যাকসিন দিচ্ছিলেন সাধারণ মানুষকে। জানা যায়, সেটি কোনওভাবেই করোনার ভ্যাকসিন নয়।
তাই নিয়ে শুরু হয়ে যায় তুলকালাম। কী করে একজন মানুষ এভাবে ভ্যাকসিন দিতে পারেন? প্রশ্ন ওঠে। সরকার ও প্রশাসন কী করছিল? সেই প্রশ্নও তুলেছিল বিরোধীরা। এত দিন ধরে এই ব্যক্তি জেল হেফাজতে রয়েছেন। তিনি নিজেকে সরকারি আধিকারিক বলে পরিচয় দিতেন।
কলকাতা কর্পোরেশনের কাজকর্ম তিনি দেখাশোনা করতেন। নিজেকে আইএএস পরিচয় দিলেও সেটি ছিল ভুয়ো। বাজার থেকে তিন কোটি টাকা তিনি তুলেছিলেন। এমন কথাও জানা যায়। যদিও তদন্তে উঠে আসে, এই সব কিছুই মিথ্যা। তিনি কার্যত কসবা এলাকায় একটি কলকাতা পুর সংস্থার অফিস চালাতেন। সেখানে একাধিক কর্মী কাজও করতেন।এমন সব তথ্য সেই সময় পাওয়া গিয়েছিল।
যদিও পরবর্তীকালে আর দেবাঞ্জন দেবের মামলা ও তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানা যায়নি। কেবল একা দেবাঞ্জন এই কাজ করেছেন! সরকারি মহলে অন্য কোনও ব্যক্তি তার সঙ্গে জড়িত ছিল না? এই প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু তারপর আর কোনও তথ্য সামনে আসেনি।
এবার সেই ব্যক্তি আদালতের দ্বারস্থ। ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেব।নিরাপত্তার দায়িত্ব ও তদন্ত সিবিআইকে হস্তান্তরের আবেদন আদালতে জানিয়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় বাহিনী তার নিরাপত্তা দিক। তার প্রাণহানির আশঙ্কা করাও হচ্ছে। এমন কথাই তার আইনজীবী বলছেন।
কলকাতা পুলিশ ওই ঘটনার মাথাদের আড়ালের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ। মামলাকারী আইনজীবীর বক্তব্য, ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে অনেক প্রভাবশালীর নাম উঠে আসতে পারে। প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে দেবাঞ্জনের। সেই কারণে নিরাপত্তা দেওয়া হোক। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। আগামী বুধবার শুনানির সম্ভবনা রয়েছে।গ্রেফতারের প্রায় আড়াই বছর পর ১৯ অক্টোবর হাইকোর্ট থেকে জামিন পায় দেবাঞ্জন দেব। তবে তার বিরুদ্ধে আরও বেশ কিছু মামলা চলছে বলে খবর।