মাথা মোড়ালেন চাকরিপ্রার্থীরা
নিউজ ডেস্ক : যন্ত্রণাময় আন্দোলনের হাজার দিন পূর্তি হল আজ শনিবার। রাস্তায় বসে ন্যাড়া হলেন আন্দোলনরত মহিলা এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থী। ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে লাগাতার চলছে ধর্না। আর সেই ধর্নার আজ হাজার দিন। একাধিক সরকারি প্রতিশ্রুতি, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরেও উঠে আসেনি সমাধান সূত্র।
আর তাই রাস্তায় বসে দিনের পর দিন ভিজেছেন। শীতের সময় খোলা আকাশের নিচে রাত কাটিয়েছেন। রাস্তাতেই কাটিয়েছেন পুজো। তবুও লড়াই করছেন পাওনা চাকরির জন্য। বিভিন্ন সময়ে অভিনবভাবে আন্দোলন করতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। এবারেও তার অন্যথা হল না।
আজ আন্দোলনের হাজার দিন। পূর্তির দিনে ধর্মতলার ধরনা মঞ্চে এসএলএসটি চাকরি প্রার্থীরা নিজেদের পাওনা চাকরির জন্য ন্যাড়া হলেন। শুধু পুরুষরা নয়, চাকরির দাবিতে মাথা কামিয়ে ন্যাড়া হন এলএসটি এক মহিলা চাকরিপ্রার্থীও। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এদিন কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই মহিলা চাকরিপ্রার্থী। বলেন, টাকার বিনিয়মে অযোগ্যরা চাকরি (West Bengal School Recruitment Scam)পেয়ে গেল। আমাদের জন্যে কিছু করল না কেউ।
২০১৬ সালের নবম-দশমের শিক্ষকপদে মেধা তালিকায় এইসব আন্দোলনকারীদের নাম রয়েছে বলে দাবি প্রতিবাদীদের। তাঁদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আশ্বাস দিয়েছিলেন চাকরি করে দেওয়ার। কিন্তু তারপরও ভাগ্যে জোটেনি চাকরি। সময়ের সঙ্গে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসও।
এরপর ২০২১ সালে সল্টলেকে ১৮৭ দিন ধর্না দেন এই চাকরিপ্রার্থীরা। এরপর গত এক হাজার দিনরাত কেটেছে রাস্তায়। কিন্তু চাকরি জোটেনি। আজ হাজারতম দিনে এসেও পাওনা চাকরির দাবি তাঁদের। তাই এদিন অভিনব প্রতিবাদের মাধ্যমেই এই আন্দোলন জারি রাখলেন এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা।
আর এই দীর্ঘদিনে চাকরিপ্রার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে বিজেপি সহ সমস্ত রাজনৈতিক দলই। আজ শনিবার চাকরিপ্রার্থীদের পাশে বাম-কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা। মিছিল করে চাকরিপ্রার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে বিজেপিও। যদিও পুরো বিষয়টি নাটক বলেই ব্যাখ্যা করেছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। অন্যদিকে রাজ্যে দুঃশাসন, কুশাসন চলবে পাল্টা কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন বাম বেতা সুজন চক্রবর্তী।