বর্ধমান স্টেশনের দুর্ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ

0 0
Read Time:3 Minute, 6 Second

নিউজ ডেস্ক::বর্ধমান স্টেশনে জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে ভয়াবহ দুর্ঘটনা হয়েছে। বুধবার বেলায় ঘটে ওই দুর্ঘটনা। রেলের আধিকারিকরা দুর্ঘটনাগ্রস্থ জায়গা ঘুরে দেখেছেন। ঘটনা কীভাবে হল, এই বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত হবে। এই কথাই রেলের তরফে জানানো হয়েছে।

২ ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মধ্যে থাকা বিশাল বড় জলের ট্যাঙ্ক ফেটে গিয়েছে। একটা অংশ ভেঙে বেরিয়ে আসে৷ বিপুল জল প্ল্যাটফর্ম শেডের উপর পড়ে। সেই শেডও দুমড়ে মুচড়ে ভেঙে যায়। ঘটনায় তিন জনের মারা যাওয়ার কথা শোনা গিয়েছে। এছাড়াও ২৭ জন ঘটনায় জখম হয়ে বর্ধমান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

অসমর্থিত সূত্রে মৃত তিন জনের পরিচয় পাওয়া গিয়েছে। তারা হলেন, সোনারাম টুডু, কান্তি বাহাদুর ও মফিজা খাতুন। নিহত ও আহতদের পরিবারকে কি কোনও আর্থিক সাহায্য করবে রেল? সেই প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঠেছে। যদিও এই খবর লেখা পর্যন্ত কোনও তথ্য সামনে আসেনি।

রেলের তরফ থেকে ওই দুর্ঘটনার পরই দুটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছিল। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত একটি হেল্প বুথ খোলা হয় হাওড়া স্টেশনে। যার যোগাযোগ নং: 033-2640-2242 (BSNL) এবং 22933 (রেলওয়ে)। হাওড়ার বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজারও ঘটনাস্থলে ছুটে যান। ২ ও ৩ নম্বর লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। ১ ও ৪ নম্বর লাইন দিয়ে ট্রেন চালানো হয়।

রেল পরিষেবা যাতে স্বাভাবিক রাখা যায়। সেদিকে লক্ষ্য রাখা হয়। দুটি প্ল্যাটফর্মেই সাধারণ যাত্রীদের থিকথিকে ভিড় দেখা যায়। কিন্তু এত ভয়াবহ দুর্ঘটনা হল কীভাবে? সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হবে। জলের ট্যাঙ্কের রক্ষণাবেক্ষণ কি হত না? সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

জানানো হয়েছে, প্রতি বছর এই জলের ট্যাঙ্কের রক্ষণাবেক্ষণ হয়। চলতি ডিসেম্বর মাসেও এই ট্যাঙ্কের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ না কী হয়েছিল৷ তারপর কীভাবে এমন ঘটনা হল? সেই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। সেই সব বিষয় নিয়েই পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। এমনই তথ্য রেলের তরফে জানানো হয়েছে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!