প্রদেশ কংগ্রেসে মমতাপন্থী মাত্র এক!
নিউজ ডেস্ক::ইন্ডিয়া ব্লকের চতুর্থ বৈঠকের আগে রাহুল গান্ধী ফোনে কথা বলেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তৃণমূল রাজ্য কংগ্রেসকে দুটি আসন ছাড়তে পারে। সেই পরিস্থিতিতে হাইকমান্ডের সঙ্গে প্রদেশ নেতৃত্বের বৈঠকে আটটি আসনের তালিকা দিলেন প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী।
বুধবার রাতে হাইকমান্ডের সঙ্গে বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গে জোট করা নিয়ে ভিন্ন মত উঠে এসেছে। সেখানে একজন মাত্র নেতা তৃণমূলের সঙ্গে জোট চেয়েছেন। দীপা দাসমুন্সির মতো অনেকে বর্তমান পরিস্থিতিতে বামেদের সঙ্গে জোটের পক্ষে। তবে জোটের ব্যাপারে হাইকমান্ড যে সিদ্ধান্ত নেবে, তাঁরা মেনে নেবেন বলে জানিয়েছেন প্রদেস সভাপতি অধীর চৌধুরী সহ অন্যরা।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেছেন, তিনি কঠিন লড়াইয়ের জন্য তৈরি। তৃণমূলের সঙ্গে জোটের কথা তিনি ভাবতেই পারেন না। কারণ পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের যা ক্ষতি হয়েছে, তা তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে। বৈঠকে অধীর চৌধুরী নিজের আসন বহরমপুর ছাড়াও দার্জিলিং, রায়গঞ্জ, মালদহ উত্তর ও দক্ষিণ, মুর্শিদাবাদ, জঙ্গিপুরের মতো আসনে কংগ্রেসের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেছেন।
বৈঠকে এআইসিসি নেত্রী দীপা দাসমুন্সি পরিসংখ্যান দিয়ে জানিয়েছেন, রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেসকে ভেঙেছে। সেই তৃণমূলের সঙ্গে জোট করলে কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের ওপরে প্রভাব পড়তে পারে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে তিনি সিপিআইএম তথা বামেদের সঙ্গে জোটের পক্ষে মত দেন।
এই বৈঠকে ভিন্ন মত পোষণ করেন পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেস সেবাদলের চেয়ারম্যান রাহুল পাণ্ডে। একমাত্র তিনিই লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের সঙ্গে জোটের সওয়াল করেছেন। অন্যদিকে রাজ্য যুব কংগ্রেস সভাপতি আজহার মল্লিক জোট নিয়ে সিদ্ধান্ত নেতৃত্বের ওপরেই ছেড়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কোনও কোনও নেতা আবার একলা চলার পক্ষেও মত দেন।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, রাজ্য নেতৃত্বের কথা শোনার পরে রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন, বাংলায় জোট নিয়ে কংগ্রেস হাইকমান্ড কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেনি কিংবা তৃণমূল নেতৃত্বকে কোনও কথাও দেয়নি। রাজ্য নেতৃত্বের মতামতকে উপেক্ষা করে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না বলে ইঙ্গিত করেছেন তিনি।
কংগ্রেস হাইকমান্ডের সঙ্গে হওয়া বৈঠকে রাহুল গান্ধী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল, পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক চেল্লা কুমারসহ আরও বেশ কয়েকজন নেতা।