কর্তব্যপথে এবারও থাকবে না বাংলা?
নিউজ ডেস্ক::আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসে সম্ভবত থাকছে না বাংলার ট্যাবলো! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলার ট্যাবলো এবার কন্যাশ্রী হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই ট্যাবলো ফের একবার বাদ দেওয়া হয়েছে প্রজাতত্র দিবসের কুচকাওয়াজের অনুষ্ঠান থেকে।
এমনটাই এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছে। প্রকাশিত খবর, গত ৯ বছর আগে ঠিক একই ভাবে প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day 2024) অনুষ্ঠান থেকে বাদ দেওয়া হয় কন্যাশ্রী ট্যাবলো (Kanyashree Prakalpa) । ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধের একটি প্রকল্প কন্যাশী। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলা ৮১ লাখ কিশোরী উপকৃত। ইতিমধ্যে বিশ্বের দরবারেও বাংলার এই প্রকল্প স্বীকৃতি পেয়েছে। আর সেই প্রকল্পকে ফের একবার দেশের (Republic Day 2024) সামনে তুলে ধরতে চেয়েছিল রাজ্য প্রশাসন।
আর সেই কারনে প্রজাতত্র দিবসের (Republic Day 2024) কুচকাওয়াজের অনুষ্ঠানের কন্যাশ্রী ট্যাবলোর প্রস্তাব পাঠানো হয়। তৃণমূলের একটি সুত্রকে কোট করে ওই সংবাদমাধ্যমের দাবি, রাজ্যের সেই প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে কেন্দ্র।
শুধু বাংলা নয়, বিহার, দিল্লি, পাঞ্জাব, কেরলের মতো বিরোধী রাজ্যগুলির ট্যাবলোও আগামী ২৬ জানুয়ারির (Republic Day 2024) অনুষ্ঠানে থাকছে না বলেই খবর। কিন্তু কন্যাশ্রীর মতো এমন একটি প্রকল্প দিল্লির ‘কর্তব্যপথে’ কেন জায়গা পাবে না তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।
এমনকি এই বিষয়ে রীতিমত ক্ষুব্ধ তৃণমূল। সমস্ত রাজ্যের ট্যাবলো নির্বাচনের দায়িত্বে থাকে প্রতিরক্ষামন্ত্রকের একটি দল। তারাই কয়েকটি ধাপে ট্যাবলো কি থাকবে তা নির্বাচন করে। প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এই বছর ডিজাইন যাচাই পর্যায়েই শেষ, মডেল ডেমনস্ট্রেশনের জন্য নবান্নের আধিকারিকদের আর ডাকা হয়নি। ফলে বাংলার ট্যাবলো (Republic Day 2024) বাতিল হয়েছে বলেই মনে করছেন আধকারিকরা।
প্রজাতন্ত্র দিবসে বাংলাকে নানা ভাবে আটকানোর চেষ্টা হয়েছে। ২০১৫ সালের কন্যাশ্রী বিতর্ক ছাড়াও, ২০২২ সালে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে নিয়ে ট্যাবলো বানায় রাজ্য। কিন্তু তা বাতিল হয়ে যায়। এমনকি ‘সেভ ওয়াটার সেভ লাইফ’ এবং ‘একতাই সম্প্রীতি’ এই থিমের অপরেও ট্যাবলো বানাতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই সুযোগও দেওয়া হয়নি।
বারবার এমন অবস্থা নিয়ে সরব শাসকদল। এমনকি বাংলার সঙ্গে কেন্দ্র পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ। যদিও এই বিষয়ে সরকারি ভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি। প্রশাসনের তরফে পুরো বিষয়টির উপর নজর রাখা হচ্ছে। এমনটাই জানা গিয়েছে।