বাজারে ভরে গেছে ভেজাল সর্ষের তেল – সতর্কবার্তা গবেষকদের
নিউজ ডেস্ক ::খোলা সর্ষের তেল এখন অতীত। যে যেভাবে পারছে সর্ষের তেলকে প্যাকেটজাত করে বিক্রি করছে। দামের মধ্যে অদ্ভুত পার্থক্য। কোনো প্যাকেট ১০০ টাকা লিটার আবার কোনটা ১৮০ টাকা লিটার। কোন কারণে দামের এই পার্থক্য? এই পার্থক্য স্বাভাবিক নয়। তেলের গুণমান যাদের দেখার কথা তারা দিব্যি ঘুমাচ্ছে। আর মানুষ খাচ্ছে বিষাক্ত সর্ষের তেল। এক কথায় আমরা কেউ ঠকছি আর কেউ ঠকাচ্ছি।
আমাদের দেশে সরষের তেল মূলত পাঞ্জাব এবং রাজস্থানে থেকে আসে। কারণ ওই রাজ্যগুলোতে অনেক সরষের চাষ হয়। যারা সরষের তেলের ট্রেডিং করেন বা ভোজ্য তেলের ট্রেডিং করেন। তাদের বক্তব্য, ট্রেডারদের কাছ থেকে যারা ভোজ্য তেল কিনে নিয়ে যাচ্ছে। তারাই কোন না কোন ভাবে সরষের তেলের সঙ্গে অন্য তেল মিশিয়ে ফেলছে। নইলে কোন অসাধু ব্যবসায়ীরা কাছ থেকে ,সরিষার তেলের সঙ্গে অন্যান্য ভেজাল তেল কিনছে। যা আদতে সাধারণ ক্রেতারা ঠকছে। আবার খুচরো বিক্রেতাদের মত, বেশিরভাগ ক্রেতা কম দামে সরষের তেল কিনতে চায়। তাই তাদেরকে যোগান দিতে গিয়ে ,এই ধরনের কাজ করতে হয়। দাবি ও পাল্টা দাবি হচ্ছে। কিন্তু সমাধানে কেউ উদ্যোগী নয়।
সরষের তেলের সঙ্গে রাইস ব্যান কিম্বা পাম তেল মেশালে মানুষের শরীরে খুব একটা ক্ষতি হয় না। কারণ প্রতিটি খাবার তেল। তবে পাম তেলে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকার কারণে মানুষের শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল জমার সম্ভাবনা থাকে। শুধু তাই নয়। এই বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস জানান,’অন্য তেলকে যখন সরষের তেল তৈরি করছে কিম্বা অল্প সরষের তেলের সঙ্গে অন্য তেল মেশাচ্ছে, তখন সেই প্রস্তুতকারককে অতি অবশ্যই রং এবং ঝাঁজ বা গন্ধ মেশাতে হচ্ছে। যা মানুষের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক। এই অভ্যাস থেকে মানুষকে সরতেই হবে। পাম তেল ,পাম তেল হিসেবেই শুধু বিক্রি হোক ।সরষের তেল হিসেবেই বিক্রি হোক। তাতে মানুষেরই স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে।’ কিন্তু কে শোনে কার কথা? তবে একটা বিষয় ঠিক যে শস্তায় সরষের তেল কিনতে গিয়ে আমরা কিন্তু শরীরে বিষ ঢোকাচ্ছি।