কেন ‘দিল্লি চলো’ অভিযানে কৃষকরা
নিউজ ডেস্ক ::ফের দিল্লি চলো অভিযানে কৃষকরা। কড়া নিরাপত্তার বেড়াজালে গোটা দিল্লি শহর। কিন্তু এবার কিসের দাবিতে তাঁদের এই বিক্ষোভ। জানা গিয়েছে এই বিক্ষোভের কেন্দ্রে রয়েছে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য। অর্থাৎ মোদী সরকার ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য অত্যন্ত কম রেখেছে তার জেরে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন চাষীরা।
মোদী সরকার কম হারে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দিচ্ছে বলে অভিযোগ চাষীদের। যার জেরে অন্য ব্যবসায়ীরা সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে। এবং তাঁদের অন্য ব্যবসায়ীদের কাছে কম টাকায় ফসল বিক্রি করে দিতে হচ্ছে। অত্যন্ত কম টাকা পাচ্ছেন তাঁরা। ফলে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন চাষীরা।
সেই সঙ্গে ২০২০ সালে বিদ্যুৎ আইন প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছে তারা। লখিমপুর খেরিতে কৃষক আন্দোলনের সময় যে কৃষকরা মারা গিয়েছিলেন তাঁদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের দাবিতেও এই প্রতিবাদ অভিযান। গতকাল মধ্যরাতে যদিও কৃষিমন্ত্রীকে কৃষক সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি প্রতিবাদ পত্র পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তাতে কোনও সুরাহা মেলেনি। তাই দিল্লি চলো অভিযানে অনড় কৃষকরা।
এদিকে কৃষকদের এই অভিযান প্রতিহত করতে কার্যত দুর্গে পরিণত করা হয়েছে রাজধানী দিল্লিতে। পাঞ্জাব, হরিয়াা সীমানায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। কাঁটাতার দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করেছে পুলিশ। যাতে কৃষকরা সেই পথে দিল্লি প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য সবরকম প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে দিল্লি পুলিশ। একই সঙ্গে দিল্লি সীমানায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তাদের কাছে কাঁদানে গ্যাসের সেল, জলকামান রয়েছে।
২০১৯ সালে কৃষি নীতির প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছিল গোটা দেশ। সেসময়ও দিল্লি চলো অভিযান করেছিলেন কৃষকরা। প্রায় তিন মাস ধরে দিল্লির সীমানা অবরোধ করে রেখেছিলেন কৃষকরা। পাঞ্জাব, হরিয়ানার পথ আটকে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়েছিলেন তাঁরা। কিছুতেই মোদী সরকারের কোনও কথা শুনতে রাজি হয়নি তাঁরা। দিল্লির যন্তর মন্তরেও প্রতাবাদ দেখিয়েছিলেন কৃষকরা। শেষে চাপে পড়ে মোদী সরকার নয়া কৃষিনীতি প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়।