রায়বরেলিতে প্রার্থী হচ্ছেন না সোনিয়া
নিউজ ডেস্ক ::একে একে হাত ছাড়ছে শরিকরা। ইন্ডিয়া জোটের অবস্থা সঙ্গীন। তবে হাল ছাড়তে নারাজ কংগ্রেস। শোনা যাচ্ছে এবার রায়বরেলিতে প্রার্থী হচ্ছেন না সোনিয়া গান্ধী। তাঁকে রাজ্যসভার আসনের জন্য মনোনিত করতে চলেছে কংগ্রেস। এবার প্রশ্ন হচ্ছে সোনিয়া গান্ধীর এক চেটিয়া জয় যেখান থেকে হয়েছে সেই রায়বরেলিতে কাকে প্রার্থী করবে কংগ্রেস?
গান্ধী পরিবারের কেউ না নতুন কোনও মুখ। শোনা যাচ্ছে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকেই রায়বরেলি কেন্দ্রে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। যদিও সবটাই সূত্র মারফৎ খবর কোনও ঘোষণা এখনও করা হয়নি। রায়বরেলি প্রথম থেকে কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি। গোটা দেশে কংগ্রেসের পরিস্থিতি যখন অত্যন্ত সংকটে ছিল তখনও রায়বরেলি কংগ্রেসের হাত ছাড়েনি।
ইন্ডিয়া জোটে একে একে সংকট বাড়ছে। একের পর এক শরিদ দল কংগ্রেসে আস্থা হারিয়ে ইন্ডিয়া জোট ছাড়তে শুরু করেছে। তৃণমূল কংগ্রেস, জেডিইউ, আরএলডি সংগ্রেসের সঙ্গে জোটে যেতে নারাজ। এমনকি আম আদমি পার্টিও কংগ্রেসের হাত ছেড়ে দিয়ে একক ভাবে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাতে বেশ চাপে রয়েছে কংগ্রেস।
এদিকে গান্ধী পরিবারের হাতে যেকয়েকটি আসন রয়েছে সেই কয়েকটি আসন সুরক্ষিত রাখতে চাইছে কংগ্রেস। দক্ষিণ ভারতে রাহুলের হাতে রয়েছে ওয়েনাড়। এবারও ওয়েনাড় থেকেই প্রার্থী হচ্ছেন রাহুল। নিশ্চিত না হলেও সেটাই ধরে নেওয়া হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলিকে কংগ্রেসের গড় বলা হয়। কিন্তু সেই কেন্দ্রে এবার সোনিয়া গান্ধী প্রার্থী হচ্ছেন না। বয়সের কারণে এবার লোকসভা ভোটে প্রার্থী হচ্ছেন না তিনি।
আবার বলা ভাল রায়বরেলির ব্যটন মেয়ে প্রিয়াঙ্কার হাতে তুলে দিতে চাইছেন সোনিয়া গান্ধী। সেকারণেই নিজে এবার প্রার্থী হচ্ছেন না এই কেন্দ্রে। তার জায়গায় প্রিয়াঙ্কাকে সেই কেন্দ্রের টিকিট দেওয়া হবে। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী গতবার লোকসভা ভোটে উত্তর প্রদেশে প্রচারে সক্রিয় ভাবে অংশ নিলেও প্রার্থী হননি। এবার রাজ্য সভায় সোনিয়া গান্ধীকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস।
খবর যদি সত্যি হয় তাহলে রায়বরেলি থেকে প্রথম লোকসভা ভোটে প্রার্থী হবেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। অন্যদিকে জয়পুরে রাজ্যসভার আসনে প্রার্থী হবেন সোনিয়া গান্ধী। ২০০৬ সাল থেকে সোনিয়া গান্ধী রায়বরেলি কেন্দ্রে জয়ী হয়ে আসছেন। ২০১৯ সালেও এই কেন্দ্রে তিনি জয়ী হয়েছিলেন। যখন অমেঠি পর্যন্ত রাহুল গান্ধীর হাত ছাড়া হয়েছিল সেখানে রায়বরেলি কিন্তু গান্ধী পরিবারের প্রতি আস্থা রেখেছিলেন।