কোন কারণে ছিটকে গেলেন নুসরত?
নিউজ ডেস্ক ::লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়নি। তার আগেই দেশের পাশাপাশি রাজ্যের ২০ টি লোকসভা আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে কার্যত চমক দেয় বিজেপি। পালটা একেবারে ব্রিগেডের ময়দান থেকে রাজ্যের ৪২ টি লোকসভা আসনে প্রার্থী তালিকা দিল তৃণমূল। আর সেই তালিকায় একাধিক চমক রয়েছে।
তৃণমূলের প্রার্থী (TMC) হিসাবে একাধিক নতুন মুখকে সামনে নিয়ে আসা হয়েছে। বাদ পড়েছেন বহু সাংসদ। যাদের মধ্যে রয়েছেন দুই সেলেব মুখ নুসরত জাহান এবং মিমি চক্রবর্তী।
যদিও গত কয়েকদিন আগে যাদবপুর লোকসভা আসন (Lok Sabha Election 2024) থেকে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেয় মিমি চক্রবর্তী। এমনকি রাজনীতি ছাড়ার কথাও তৃণমূল সুপ্রিমোকে জানিয়ে এসেছিলেন। এরপরেও তাঁকে নিয়ে একাধিক জল্পনা চলছিল। যাদবপুর লোকসভা আসনের বাইরে রাজ্যের অন্য কোনও কেন্দ্র থেকে মিমিকে প্রার্থী করা হতে পারে বলেও জল্পনা চলছিল। যদিও সেই জল্পনা খারিজ হয়ে যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার পরেই। মিমির কেন্দ্র যাদবপুরে প্রার্থী করা হল আরেক অভিনেত্রী সায়নী ঘোষকে।
কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এবার নুসরতকে প্রার্থী করা হল না। বারাসত কেন্দ্র থেকে গত লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) প্রার্থী করা হয় টলিউড়ের এই অভিনেত্রীকে। বিপুল ভোটে জয় পান। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গে কিছুটা দূরত্ব হয় নুসরতের। ঠিক ভাবে সাংসদে উপস্থিত না থাকা নিয়েও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া বার্তা দেন তাঁকে। এরপরেও দলে তেমন তৎপরতা দেখা যায়নি। এমনকি নিজের কেন্দ্র বারাসতেও সে ভাবে অভিনেত্রী সময় দেয়নি। আর তাতে ক্ষোভ তৈরি হয়।
আর সেই ক্ষোভ থেকেই গত কয়েকদিন নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে পোস্টার পর্যন্ত পড়ে। গোটা বারাসতজূড়ে সেই পোস্টার পড়ে। তাতে স্পষ্ট লেখা ছিল, ‘প্রার্থী হিসেবে অভিনেত্রী বা অভিনেতা না, সৎ ও শিক্ষিত মানুষ চাই’। নিচুতলার ক্ষোভ শীর্ষ নেতৃত্বের কাছেও পৌছয়। সম্প্রতি সন্দেশখালির ঘটনাতেও অভিনেত্রীকে তেমন তৎপরতা হতে দেখা যায়নি। কখনও সাধারণ অডিও বার্তা তো আবার কখনও ভুল তথ্যে ভরা বাইট। যা মোটেই ভালো চোখে শীর্ষ নেতৃত্ব নেয়নি বলেই খবর।
শুধু তাই নয়, নুসরতের ব্যক্তিগত জীবনে একের পর এক কেলেঙ্কারিতে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় তৃণমূল নেতৃত্বকে। বিশেষ করে নিখিলের সঙ্গে বিয়ে, সন্তান এবং যশের সঙ্গে প্রেম। রীতিমত ইস্যু করে বিরোধীরা। আর তাই নিচুতলারম কর্মীদের দাবি মেনে এবং সবদিক বুঝে দক্ষ রাজনীতিক হাজিনূরুল ইসলামের উপরেই ভরসা রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।