“সিএএ জুমলা, বিজেপির ফাঁদে পড়বেন না”: অভিষেক
নিউজ ডেস্ক ::সিএএ নিয়ে এবার আক্রমণাত্মক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিএএকে আগে জুমলা বলে কটাক্ষ করেছিলেন। এবার ঠিক একই ভাষায় আক্রমণ করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
শুক্রবার পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ছিল৷ সেই সভামঞ্চ থেকেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করলেন তিনি৷ বিজেপিকে দেওয়া চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গ ফের তুললেন তিনি। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রের প্রকল্পের বঞ্চনার বিষয় নিয়ে ফের সওয়াল করেন।
কলকাতার টালিগঞ্জে এক যুবক আত্মহত্যা করেন। তিনি নিজের কাগজপত্র খুঁজে পাচ্ছিলেন না। সেই কারণে ওই যুবক চরম অস্বস্তিতে ছিলেন। কাগজ না থাকলে তিনি সিএএ আওতায় পড়ে যাবেন। এই আশঙ্কা করেছিলেন। আর সেই আতঙ্কেই ওই যুবক আত্মহত্যা করেছিলেন। ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডের ওই যুবকের বাড়িতে গিয়েছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
বর্ধমানের মঞ্চ থেকে এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেই বিষয়ে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। কাগজ খুঁজে পাচ্ছে না। সিএএ, এনআরসির ভয়ে, আতঙ্কে আত্মহত্যা করেছে। এমনই কটাক্ষ করেন অভিষেক। ২০১৯ সালে সিএএ হয়েছে। কেন পাঁচ বছর সময় লাগল সিএএ আইন চালু করতে? প্রশ্ন করেন তিনি। সিএএ যে নোটিফিকেশন হয়েছে, সেটি আর একটি জুমলা। এমনই কটাক্ষ করেন অভিষেক।
৪০ পাতার মধ্যে ৩৮ টি পাতা রয়েছে সিএএর ফর্ম। নাগরিকত্বের যারা আবেদন করবেন, তাদের ওই ৩৮ পাতার ফর্মপূরণ করতে হবে। তারপর কবে নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে? কার কাছে যেতে হবে? কোথায় আবেদন করতে হবে? কিছুই লেখা নেই। এমনই কথা বললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একই সুরে সিএএকে জুমলা বলে কটাক্ষ করেন অভিষেক।
এদিন আরও বেশি সুর চড়ালেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আপনাকে জানাতে হবে আপনার বাংলাদেশের পাসপোর্ট, না কী পাকিস্তানের পাসপোর্ট, না আফগানিস্তানের পাসপোর্ট? আমি যদি মিথ্যা বলি, আমার বিরুদ্ধে মামলা করুন।”
তিনি মিথ্যা কথা বলার ছেলে নন। তিনি স্পষ্টবক্তা। সাদাকে সাদা, আর কালোকে কালো বলেন। জুমলার ফাঁদে সাধারণ মানুষকে পড়তে বারণ করেন। সিএএ বিজেপির ভাঁওতাবাজি। এমন কটাক্ষ করেন অভিষেক।